
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম হালিশহর শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আজ ১১ রমজান সোমবার বাদ আসর দারুস সুন্নাহ মাদরাসা মিলনায়তনে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মওলানা মফিজুল হক নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, হেফাজতে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও কৈগ্রাম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হোসাইন আহমদ, দারুল উলুম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আহমদ দিদার কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, শিক্ষা ও প্র্শিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার, সেগুনবাগান কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, হালিশহর শহর সভাপতি মাওলানা সরোয়ার আলম, মাওলানা মুফতি আবদুল ওয়াহাব, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা সাদক হোসাইন কাসেমী, মাওলানা কারী ফরিদুল আলম, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা হিজবুল্লাহ, মাওলানা আনজার শাহ মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা শাব্বির আহমদ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন,। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মাওলানা মুফতি ওসমান সাদেক।
প্রধান অতিথির ভাষণে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, হেফাজতের কাজ হলো ইসলামবিদ্বেষী, ইহুদী খ্রিস্টান, কাদিয়ানী, বাহায়ীসহ সকল বাতিল ফিতনার মুকাবিলা করা। দেশের স্বাধীনতার হেফাজত করা। তাই ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত হলে তা মুকাবিলা করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ওলামায়য়ে কেরাম মুসলমানদের ঈমান আকিদার হেফাজতের সাথে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষারও অতন্দ্র প্রহরী। বর্তমান নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী, খ্রিস্টান মিশনারি এনজিও, কাদিয়ানী, বাহায়ী ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইহুদীরা মুসলমানদদের চির শত্রু। ইসরাইলীরা মানবতার দুশমন। তারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের শহীদ করছে। বায়তুল মোকাদ্দাস দখল করে রেখছে। এই জালিম ইসরাইল ও মার্কিনীদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা মুসলিম উম্মাহর ঈমানী দায়িত্ব।