
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছে, যার কারনে মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবরণ করতে হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে রাজপথে জোরদার আন্দোলন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭’তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আজ (২৯ মে) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মূক্ত করে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার করতে হবে। তবে সে আন্দোলন হতে হবে সঠিক সময়ে। পৃথিবীতে কোন স্বৈরাচার স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়েনি। তাই স্বৈরাচারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য চলমান নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে জোরদার করে সঠিক সময়ে চুড়ান্ত রুপ দিতে হবে।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, জিয়াউর রহমান বলতেন প্রশিক্ষিত কর্মীই রাজনৈতিক দলের প্রান এবং ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে প্রশিক্ষিত হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করতে পারলেই আন্দোলনের সফলতা আসবে।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দমন, পীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না। বিএনপি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বর্তমানে অনেক বেশী ঐক্যবদ্ধ। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এবং নৌকা তলিয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ ও সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক এম.এ.হালিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম.এ. সবুর, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এস.কে. খোদা তোতন, জসীম উদ্দিন শিকদার, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, এম.এ. হাশেম রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল আলম রাসেল, মোহাম্মদ সেলিম, গাজী সিরাজউল্লাহ প্রমূখ। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।