চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, অবৈধ সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিনাচিকিৎসায় হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। বেগম জিয়ার প্রতি সরকার যে কত ভয়াবহ প্রতিহিংসার পরায়ন সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কারাগারে তার প্রতি অমানবিক আচরণ দেখে।
তিনি আজ ৮ জুন শনিবার বিকালে নগরীর ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি ও বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বার বার দাবি জানিয়ে আসছে বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। অথচ সরকার কারো কোন দাবিকে আমলে না নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিত্যাক্ত করাগারে বিনাচিকিৎসায় বন্দি করে রেখেছে। বেগম জিয়ার নিকটাত্মীয়রা তার সাথে স্বাক্ষাত শেষে বলেছেন গত ৫ জুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন তারপরও সরকার বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই।
তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে কিন্তু জনগণের আদালতে খালেদা জিয়া নির্দোষ। তাই তার মুক্তির আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুত। আগামীতে কৌশল হবে একটাই, সেটা হল আন্দোলন।
আন্দোলন ছাড়া হাসিনার প্রতিহিংসার কারাগার থেকে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না। সরকার বেগম জিয়াকে বন্দি রেখে আর একটি এক তরফা, প্রতিদ্বন্দ্বিহীন প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। দেশের জনগণ তাদের সে স্বপ্ন কখনো পূরণ হতে দেবে না। বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বর্তমান অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। আলোচনা সভা থেকে তিনি বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আব্বাস খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও এতিম দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠান সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জহির আহমদ, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন লাুত, সদস্য ফজল আহমদ, ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. ছৈয়দ, সহসভাপতি মো. এনায়েত, মো. শাহজাহান (মুক্তিযোদ্ধা), সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুছা আলম, বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, মো. মহিউদ্দিন, মো. আলী, মো. সাইফুল, মো. আজিম, মো. মতিন, মো. নুরুল হুদা, মো. টিটু, মো. আবুল, মো. নিজাম, মো. সেন্টু, মো. কামাল, মো. ইয়াকুব আলী, মো. আনোয়ার (শ্রমিক নেতা), মো. হেলাল, মো. মহসিন চৌধুরী, মো. সেলিম, মো. মনি, মো. বাবুল, মো. শাহাজাহান, ছাত্রদল নেতা মো. হাসান, মো. আবির, মো. জাসেম, মো. ফয়সল, মো. রাশেদ প্রমুখ।
