
জেলার হাটহাজারী পৌরসভায় ভিজিএফ এর চাল নিতে গিয়ে হাদী গিয়াস উদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি হাটহাজারী পৌর সদরের ফকির বাড়ির মৃত মফিজুর রহমান মাস্টার এর ছেলে বলে জানা গেছে।
আজ রবিবার ১০টার দিকে পৌরসভার পুরনো কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সকাল থেকে পৌরসভার পুরনো কার্যালয়ে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। আগে থেকেই ভিজিএফ কার্ড প্রাপ্ত লোকজন লাইনে দাড়িয়ে চাল সংগ্রহ করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরাদের মতে, সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে গিয়াস উদ্দিন সেখানে চাল নিতে আসে। তিনি লাইনে দাড়ানোর কিছুক্ষন পর হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হাটহাজারী থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই একরাম ও এসআই জলিল ঘটনাস্থলে এসে গিয়াসের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
এসআই একরাম বলেন, লাশের শরীরে কোন প্রকার আঘাত বা জখমের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হবে।
নিহতের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ভাই হাদী মো. মহিউদ্দিন বলেন, ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন রোজা রাখাবস্থায় ছিলেন। এছাড়া আগে থেকে তার ডায়াবেটিকস ও ব্রাড প্রেসার সমস্যা ছিল। হয়তো সে কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। আমরা বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফন করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করবো।
হাটহাজারী পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহম্মেদ খাঁন জানান, ঘটনার সময় তেমন কোন জ্যামও ছিলোনা। তিনি হঠাৎ সারিবদ্ধ লাইন থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও মারা যান।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আক্তার উননেছা শিউলী বলেন, জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আছি। সারিবদ্ধ লাইন থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত। নিহতের পরিবারকে পৌরসভার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। নিহত গিয়াস বড় ভাইয়ের ডেকোরেশানের দোকানে সহযোগিতা করত। তার দুই শিশু ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।