
সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সী-বিচে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় দেড়ঘন্টার ব্যবধানে আজ (২২ জুন) শুক্রবার বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
এর মধ্যে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ডুবে যাওয়ার স্থান থেকে কিছু দুরে সাগরের তলদেশে মাটিতে অর্ধ পোতাবস্থায় নিখোঁজ রাজ (১৮) এবং বিকাল সাড়ে ৪টায় ইমন (১৯) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানাগেছে।
তারা দুজনের মধ্যে রাজ এসএসসি পরিক্ষার্থী এবং ইমন এইচএসসি পরিক্ষাথী ছিল বলে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওয়াসি আজাদ পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে ৯ বন্ধু মিলে সীতাকুণ্ডে ভ্রমণে আসে, তারা সকালে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে ঘুরে বেড়িয়ে দুপুর তিনটার দিকে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যায়। সৈকতে আসার পর ৯ বন্ধু মিলে সাগরে গোসল করতে নামে। কিন্তু সাঁতার না জানার ফলে ঐসময় ইমন ও রাজ নামে দুই কিশোর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ওয়াসি আজাদের নেতৃত্বে দমকল বাহিনী ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দিন ভুইয়ার নেতৃত্ব ডুবুরি দল সাগরে তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও রাতে পর্যন্ত দুই কিশোরে সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাত ১০টার দিকে উদ্ধার কাজ স্থগিত করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরী দল।

ঘটনাস্থল থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম পাঠক ডট নিউজকে জানান, বিকাল ৩টায় একজন এবং সাড়ে ৪টায় অপরজনের লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরী দল। দুটি মরদেহ তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত দুই কিশোর আপন খালাতো। তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিগঞ্জ থানার, বাগমারা এলাকার বাসিন্দা।
ইউএনও আরো জানান, ঈদ উপলক্ষে নারায়নগঞ্জ থেকে ৯ জন কিশোরের একটি টিম সীতাকুণ্ডে বেড়াতে আসেন। গতকাল সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে ভ্রমন শেষে বিকালে বাঁশ বাড়িয়া বীচে আসে। এখনে সাগরে সাঁতার কাটতে নেমে দুজন পানিতে তলিয়ে যায়। বাকী ৭ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
জানা যায়, ঘটনার পরপরই উদ্ধার ৭ জন হচ্ছে পিয়াল (১৮), আমির (১৭),সাইমুন (১৮), সজিব (১৯), রবিন (১৮), আরিফ (১৮) আহাদ (২০)।
*সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া বীচে সাগরে নেমে নিখোঁজ দুই কিশোর
*বাঁশবাড়িয়ায় সাগরে নেমে নিখোঁজ দুই কিশোরের সন্ধান মেলেনি