
নগরীর স্টেশন রোড়স্থ পর্যটন কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত মোটেল সৈকত হোটেলে অভিযান চালিয়ে জামায়াত শিবির সন্দেহে ২১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পারাবত নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশ পুরো মোটেল সৈকত ঘেরাও করে এ অভিযান চালায়।
আজ শনিবার রাতে সাড়ে সাতটা থেকে ১০ পর্যন্ত কোতোয়ালী থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন অভিযানের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
আটককৃতদের মধ্যে মহানগর জামায়াতের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী ও আন্তর্জাতিক ইসলামী ইউনিভার্সিটির রেজিষ্টার আ জ ম ওবায়দুল্লাহ ও শিবিরের মহানগর দক্ষিণ সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন বলে জানা গেছে। আটককৃতদের সবাইকে কোতোয়ালী থানায় নেয়া হয়েছে। আটক নেতাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ আব্দুর রউফ পাঠক ডট নিউজকে জানান, “পারাবত” নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন নামে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরীর (দক্ষিণ) কমিটি গঠনের জন্য জনশক্তি জড়ো করা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে শতাধিক পুলিশ মোটেল সৈকত দুই ঘন্টা ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে প্রায় আড়াইশ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন থানার মামলা আসামী রয়েছে। যাচাই বাচাই শেষে যাদের নামে মামলা আছে তাদরে গ্রেফতার করে নিরাপরাধ কেউ থাকলে ছেড়ে দেয়া হবে।

এদিকে রাত ১০টার দিকে সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন কোতোয়ালী থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের দেয়া সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, জামায়াত শিবির সাংস্কৃতিক সংগঠনের আড়ালে ঈদ পূর্ণমিলনীর নামে গোপন বৈঠক করছিল। তারা অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। েগাপন খবরের ভিক্তিতে জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায়। মোটেল সৈকত ঘেরাও করে সেখান থেকে দুই থেকে শতাধিক জনকে আটক করা হয়েছে।