
ইমাম ইমু, চবি প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শিক্ষার্থীবাহী ট্রেন শাটল। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শাটল ট্রেন ও এর বগি সংখ্যা বৃদ্ধি এবং এর সংস্কারের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর ১৯৮০ সালে শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য যুক্ত করা হয় শাটল ট্রেন। তখন থেকে ৩৬ বছর অবধি বিরামহীন অব্যাহত রয়েছে শাটলের যাত্রা।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের পরিবহনের জন্য বর্তমানে দুইটি শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন চলাচল করে। প্রত্যেকটি শাটলে ৮ টি বগি খোলার দিন গুলোতে নিয়মিত সাতপাকে ঘুরে যায় চবি ক্যাম্পাস কে এবং ডেমুতে রয়েছে মোট তিনটি করে বগি ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আসন রয়েছে। আর ক্যাম্পাসের আশেপাশে ব্যাক্তি মালিকানাধীন কটেজগুলোতে কিছু শিক্ষার্থী বসবাস করলেও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে এ অংশ কিছুই নয়। শিক্ষার্থীদের বড় অংশটিই থেকে যায় শহরে। এছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীরাও টিউশনি ও নিত্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ছুটে যায় শহরে।
বলা হয় প্রতিদিন প্রায় ১২-১৪ হাজার শিক্ষার্থী শাটলে চলাচল করে। কিন্তু মাত্র দুইটি শাটল আর ছোট্ট একটি ডেমু ট্রেনে শিক্ষার্থী সংকুলান হয়না। সিট ধরার জন্য ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত ট্রেনেই উঠে যায়। এছাড়াও ট্রেনের ছাদে ও দরজায় বসে যায় অনেক শিক্ষার্থী। আর প্রতি বছরেই এ সংখ্যা বাড়তেই থাকছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাটল ট্রেন ও বগির সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ তম বার্ষিক সিনেট সভায় বাজেট উপস্থাপনকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বলেন, নতুন বিভাগ খোলা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে শাটল ট্রেনের সংখ্যা ও বগি সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সংস্কারের ব্যাপারে আলোচনা করে। তিনি আরো বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।