
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকার আলিয়া মাদরাসার ক্যাঙ্গারু কোর্টে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা রাখা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। কুমিল্লার মিথ্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জমিন আপিল বিভাগ স্থগিত করেছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। ন্যায় বিচার পাওয়ার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হলো সর্বোচ্চ আদালত। জামিন পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার নাগরিক অধিকার। বেগম জিয়ার হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করা সম্পূর্ণ সরকার নির্দেশিত। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার শিকার।
তিনি আজ ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, হাইকোর্ট জামিন দিলে সে জামিন স্থগিত করা হয় এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। শেখ হাসিনা জোর করে ক্ষমতায় আছে বলেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশনেত্রীর জামিন স্থাগিত করা শেখ হাসিনার হুকুমেরই বাস্তবায়ন।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আইনী প্রক্রিয়ায় আদৌ মুক্ত করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যে আইনী প্রক্রিয়া চলছে এবং যে ধরনের আদেশ দেয়া হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে। কোন রকম ন্যায় বিচার পাবে এ বিশ্বাস দিন দিন ক্ষিণ হয়ে আসছে। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না নেয়ায় তার শারীরিক অবস্থা আরো সংকটময় হয়ে ওঠেছে। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জেল খানায় তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার ও দুদক পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানেয়াট নাটক মঞ্চস্থ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারান্তরিন করে রেখেছে। অবৈধ সরকার বিভিন্ন অজুহাতে ও কাল্পনিক মামলা দিয়ে বেগম জিয়ার জামিন প্রক্রিয়াকে একের পর এক বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে সরকার জোর করে অব্যাহতি প্রদানের মাধ্যমে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মত দেশের বিচার বিভাগও আজ পরাধীনতার শৃংখলে বন্দি। শৃংখলিত বিচার বিভাগ থেকে বেগম খালেদা জিয়া কেন? দেশের একজন সাধারণ নাগরিকও ন্যায় বিচার আশা করতে পারেন না।
সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারের নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণে এটি সুস্পষ্ট যে, তারা জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। আর এজন্য গণতন্ত্রকে নি:শেষ করে ফেলছে। তাই মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাবন্দী সম্পূর্ণ নির্দোষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনকে দমন করার উদ্দেশ্যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু এসব নিপীড়ন করে সরকার যেমন জনগণের রোষ থেকে রেহাই পাবে না তেমনি দেশনেত্রীর মুক্তি আন্দোলনকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বালির বাঁধ দিয়ে সমুদ্রের জোয়ার কখনো রুখা যায় না।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি‘র সহসভাপতি মো: মিয়া ভোলা, হাজী মো: আলী, হারুন জামন, সৈয়দ আহামদ, কামাল উদ্দিন কন্ট্রা:, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, নবাব খান, বিএনপি নেতা এস এম সাইফুল ইসলাম, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, মো: সালাউদ্দিন, ইব্রাহীম চৌধুরী, এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো: আলী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপি নেতা মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ হোসেন ডেপটি, ছাইফুর রহমান বাবুল, মো: সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহ সাম্পদকবৃন্দ, আবদুল হালিম স্বপন, মো: সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মো: ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, ইসমাইল বাবুল, ইউনুছ চৌধুরী হাকিম, সাবের আহাম্মদ, আবু মুসা, সফিক আহাম্মদ, আলমগীর নুর, আবদুল মতিন, ফয়েজ আহাম্মদ, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাউদ্দিন লাতু, জাকির হোসেন, মনির আহামদ চৌধুরী, মো: সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, নূর হোসেন, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের জেলী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের ডা. মোহাম্মদ সাদেক, বিএনপির সদস্য শওকত আজম খাজা, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, আতিকুর রহমান, সকিনা বেগম, মুন্নি আক্তার, আইয়ুব খান, ইউসুফ সিকদার, মনজুর কাদের মিন্টু, জাকির হোসেন, মো: ইলিয়াছ, মো: ইয়াছিন, মো: তসলিম, ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, শেখ রাসেল, শ্রমিক দল নেত্রী শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নগর তাতী দলে জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।