
চট্টগ্রামের আলোচিত ম্যাক্স হাসপাতালে র্যাবের পরিবালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বেসরকারী হাসপাতালটির বেশ কিছু অনিয়ম দুর্নিতীর চিত্র ধরা পছে। হাসপাতালের রোগ নিরূপণ কেন্দ্রে (ল্যাব) কোনো পরীক্ষা না হলেও প্রতিদিন প্রচুর রিপোর্ট হয়! এমনকি যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাক্ষরে এসব রিপোর্ট দেওয়া হতো তা-ও ছিল জাল।
আজ রবিবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে উঠে এসেছে জালিয়াতি ও প্রতারণার চিত্র।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম জানান, অভিযান শুরুর পর থেকে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে ম্যাক্স হাসপাতাল থেকে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই রোগের নমুনা দেশের বাইরে পাঠানো হয়। অর্থাৎ সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রোগিদের নমুনা দেশের বাইরে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোগীদের বেশিরভাগ পরীক্ষার রিপোর্ট নগরীর পপুলার, এপিকসহ বাইরের অখ্যাত ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে করে এনে তারা (ম্যাক্স) তাদের নিজের নামে চালিয়ে দিতো। এমনকি যে ডাক্তার রিপোর্টটি তৈরি করতো তার সই না দিয়ে অন্য ডাক্তারের সই থাকত।
পুরো হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার পর্যবেক্ষণ করে তারপর এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি দেখবেন বলে জানান তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ৩টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
অভিযানে সহযোগিতা দিচ্ছেন ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান, ওষুধ প্রশাসন চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক গুলশান জাহান প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ২৯ জুন চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এলাকায় অবস্থিত ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎকদের অবহেলায় মারা যায় শিশু রাইফা। শিশু রাইফার মৃত্যুতে তিন চিকিৎসককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে এ সংক্রান্ত কমিটি।
এদিকে নগরীর চট্টেশ্বরী ও আর নিজাম রোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালেও র্যাবের একটি টিম অভিযানে রয়েছে। সেখানে তারা ল্যাবসহ বিভিন্ন বিভাগে পরিক্ষা নীরিক্ষা চালাচ্ছে।