
চট্টগ্রাম নগরীর খূলশী থানাধীন গরিবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে প্রাইভেটকার কার ও গাড়ী চালক সহ অপহরণ হয়েছেন আলোচিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটর সাবেক ছাত্র জুনায়েদ হোসেন ওরফে আকিব (২৫)। অপহ্নত গাড়ী চালকের নাম মোস্তফা (৩০)।
এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিখোঁজের খবর প্রকাশিত হলেও আকিবের পরিবার দাবী করেছেন আকিবকে গাড়ি ও চালকসহ পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে তাদের কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে দুইজনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক নগরীর খুলশি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার পরিবার। এ নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলশী থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আকিব তার গাড়ী চালকসহ নিখোঁজ রয়েছে। তাদের ব্যবহৃত গাড়ীটিও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। তার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। তবে সে নিখোঁজ হয়েছে না তাকে অপহরণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আকিবের ভগ্নিপতি ও রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফরহাদ জানান, আমরা গতকাল রাতেই জানতে পারি চালক সহ আকিবকে তুলে নিয়ে গেছে কিছু আজ্ঞাত লোক। আকিব সোমবার বিকালে তার গাড়ী ( চট্টমেট্রো গ-১১-৭২৭৯) নিয়ে আগ্রাবাদে ব্যক্তিগত কাজে যায়। আগ্রবাদ থেকে আসার সময় গরিবুল্লাহ শাহ মাজারের সামেনে একটি পাঁজারো গাড়ী তার প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এতে আকিবের গাড়ী ক্ষতিতগ্রস্থ হয়। পাঁজারোর গাড়ীর লোকজনের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে পাজারো গাড়ীর লোকজন তার ব্যক্তিগত গ্যারেজে প্রাইভেট কার ঠিক করে দিবে বলে আকিবের গাড়িতে দুইজন ওঠে বসে। এবং দুটি গাড়ি খুলশী রোড় দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে আকিব ও তার গাড়ী ড্রাইভারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
জানাগেছে, আকিব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলতি বছরের এপ্রিলে বিবিএ পাস করে চট্টগ্রামে চলে আসেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন চৌধুরী মারা যান। সাত বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আকিব সবার ছোট।
এর আগে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় আকিব একবার অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে তাঁর অপর ভগ্নিপতি আবুল মঞ্জুর। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কাজে সোমবার দুপুরে আগ্রাবাদ গিয়েছিলেন আকিব। ওয়াসার মোড়ে তাঁর বন্ধু রাব্বিকে নামিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথে গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের কাছে জুনায়েদের গাড়ির সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তিনি এ বিবরণ জানতে পারেন।