ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রচারণায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৭৪

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুন খাওয়া প্রদেশের দুটি শহরে দুটি রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। আগামী ২৫ জুলাই দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হামলার ঘটনা ঘটছে। গত দুই দিন আগেও নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

শুক্রবারের ওই দুটি হামলার একটি হামলা হয়েছে বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে দ্রিনগড় শহরে আওয়ামী পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারণার মিছিলে। শুক্রবার বিকালের ওই হামলায় দলটির প্রার্থীসহ ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্তত ১২০ জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে যে ৭৩ জনকে চিকিতসা দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফায়েজ কাকারের বরাতে এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে।

.

আত্মঘাতী এ হামলায় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) প্রার্থী মীর সিরাজ রাইসানি নিহত হয়েছেন। তিনি দ্রিনগড় শহরের মাসতুং জেলা আসনের প্রার্থী ছিলেন। সেই জেলাতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত সিরাজকে কোয়েটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। নিহত সিরাজ ওই প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মীর আসলাম রাইসানির ছোট ভাই।

এর আগে শুক্রবার আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটে উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুন খাওয়ার শহর বান্নুতে। ওই হামলায় নিহত হয় ৪ জন। এবং আহত হন অন্তত ৩২ জন।

.

শুক্রবার সকালে জেইউআই-এফ নামের একটি ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সমাবেশ শেষে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সমাবেশটির আয়োজন করা হয়েছিল হুওয়াইদ এলাকাতে। সমাবেশ শেষে লোকজন যখন চলে যাচ্ছিল তখন এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ওই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল খাইবার পাখতুন খাওয়ার সাবেক প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী আকরাম খান দুররানির তত্ত্বাবধানে। কিন্তু হামলায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি।

এর আগে গত মঙ্গলবার পেশোয়ারে এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হারুন বিলৌর। ওই হামলায় মোট ২০ জন নিহত এবং ৬৯ জন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। ২০১২ সালে তালেবান হারুন বিলৌর এর বাবাকেও হত্যা করেছিল।

.

এর আগে ৭ জুলাই বান্নুতে মুত্তাহিদা মাজলিস-ই-আমাল (এমএমএ) এর ওপর হামলায় ৭ জন এবং চলতি মাসের শুরুতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রামজাকে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ওপর হামলায় ১০ জন আহত হয়।

পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ পিস স্টাডিজ নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসেব মতে, পাকিস্তানে গত ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছিলেন ১৫৮ জন। এবারও তেমনই সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০০৭ সাল থেকেই জঙ্গি সংগঠন টিটিপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে পাকিস্তান সরকার। ২০১৪ সালে পাকিস্তান সরকার উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তালেবানের সদর দপ্তরে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এরপর থেকে জঙ্গিদের সহিংসতায় কিছুটা ভাটা পড়ে। কিন্তু এরপরও সাধারণ নাগরিক এবং নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print