t কম্পিউটার গেমের নেশা ‘মানসিক রোগ’: ডাব্লিইএইচও – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কম্পিউটার গেমের নেশা ‘মানসিক রোগ’: ডাব্লিইএইচও

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

কম্পিউটারে গেম খেলার প্রতি নেশাকে এই প্রথম একটি ‘মানসিক রোগ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিইএইচও)। ১১তম ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস (আইসিডি)’এ এটিকে ‘গেমিং ডিজঅর্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সংক্রান্ত খসড়া দলিলে এই গেমিং আসক্তিকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন এক ধরণের আচরণ হিসেবে, যা জীবনের আর সব কিছুর আকর্ষণ থেকে একজনকে দূরে সরিয়ে নেয়।

বিশ্বের কিছু দেশে গেমিং আসক্তিকে ইতোমধ্যে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যসহ কিছু দেশে তো ইতোমধ্যে এর চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট এডিকশন ক্লিনিক পর্যন্ত রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সালে সর্বশেষ আইসিডি তৈরি করেছিল। নতুন গাইডলাইনটি প্রকাশিত হবে এ বছরই। এই গাইডে বিভিন্ন রোগের কোড, লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। চিকিৎসক ও গবেষকরা এটির সঙ্গে মিলিয়ে রোগ নির্ণয়ের করার চেষ্টা করেন।

গেমিং আসক্তিকে কখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করা হবে, তার বিস্তারিত থাকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গাইডলাইনে।

এতে বলা হয়েছে, ১২ মাস সময় ধরে অস্বাভাবিক গেমিং আসক্তি বা আচরণ দেখা গেলে তা নির্ণয়ের পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে যদি অস্বাভাবিক আচরণের মাত্রা অনেক বেশি তীব্র হয় তখন ১২ মাস নয়, তার আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

যেসব লক্ষণের কথা এতে উল্লেখ করা হয়েছে:

– গেমিং নিয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ( বিশেষ করে কত ঘন ঘন, কতটা তীব্র এবং কত দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করছে, সে বিষয়ে)

– গেমিংকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া

– নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও গেমিং অব্যাহত রাখা বা আরো বেশি গেমিং করা

লন্ডনের নাইটিংগেল হাসপাতালের টেকনোলজি এডিকশন স্পেশালিস্ট ড. রিচার্ড গ্রাহাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে আরো বিশেষায়িত চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে এ ধরণের গেমিং আসক্তিকে লোকে আরো গুরুত্বের সাথে নেবে।

তবে যারা গেমিং আসক্তিকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসেবে দেখার বিপক্ষে, তাদের প্রতিও তিনি সহানুভূতিশীল। তিনি স্বীকার করছেন যে, অনেক বাবা-মা এ নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কেবল গেমিং এ উৎসাহী বলে সন্তানদের তারা ‘অসুস্থ’ বলে ভাবতে পারেন।

ড: রিচার্ড গ্রাহাম জানান, বছরে তিনি ডিজিটাল আসক্তির প্রায় ৫০টির মতো কেস দেখেন। এই আসক্তির কারণে এদের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, সামাজিক মেলামেশা ও শিক্ষার ওপর কি প্রভাব পড়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে আসক্তির সমস্যার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করা হয়।

রোগী দেখার সময় একটা জিনিসকেই তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। সেটি হলো- এই গেমিং আসক্তি ‘নিউরোলজিক্যাল সিস্টেম’কে কতটা প্রভাবিত করছে। এটি চিন্তার ক্ষমতা বা নিবিষ্ট থাকার ক্ষমতার ওপর কি প্রভাব ফেলছে।

বিশ্বের অনেক দেশই গেমিং’এর আসক্তি নিয়ে চিন্তিত। দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকার এমন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা মধ্যরাত হতে ভোর ৬টা পর্যন্ত অনলাইন গেম খেলতেই না পারে।

জাপানে কেউ যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি গেম খেলে তাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। চীনে সেখানকার সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট শিশুরা কতক্ষণ গেম খেলতে পারে তার সময় বেঁধে দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print