ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডঃ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

জায়গা সম্পত্তির জেরে পেশাদার খুনিচক্র দিয়ে মা মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পানির ট্যাংকিতে লাশ ফেলে দেয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। তাদের ধারণা এটা যদি সাধারণ চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা হতো তবে তারা খুন করে লাশ পানির ট্যাঙ্কে ফেলে যেতো না। আবার তারা নিহত দুজনের মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে সিমগুলো ফেলে রাখতো না। নিশ্চিত করে বলা যায় এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।

মহানগরীর আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ নিহতদের নিকট আত্মীয় ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।

এদিকে রবিবার রাতে নগরীর খুলশী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করে ।নিহত মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।  লাশ উদ্ধারের দিন রাতেই পুলিশ তিনজনকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

তবে পুলিশ বলছে তাদেরকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার ক্লু উদঘাটনে নিহতের কজন আত্মীয় স্বজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা তিনজন হলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটের বাসিন্দা মুশফিকুর রহমান, বেলাল উদ্দিন ও দোকান কর্মচারী ইমন। এদের মধ্যে মুশফিক ও বেলাল সে নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেরুন নেছার দুই বোনের ছেলে।

.

থানায় তাদেরকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন। চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা নয়, জায়গা সম্পত্তির জেরে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড জানিয়ে ওসি বলেন, এটা যদি সাধারণ চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা হতো তবে তারা খুন করে লাশ পানির ট্যাঙ্কে ফেলে যেতো না। আবার তারা নিহত দুজনের মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে সিমগুলো ফেলে রাখতো না। নিশ্চিত করে বলা যায় এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।

অন্যদিকে ঘটনার পরপরই হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে নেমেছে নগরীর খুলশী থানা পুলিশ, নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে টিমগুলো।

পানির ট্যাঙ্ক থেকে লাশ দুটি উদ্ধারের পর নিহত মা মনোয়ারা বেগমকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নিহত মেয়ে ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা মেহেরুন নেছার মাথায় জখমের চিহ্ন দেখে তদন্তের দায়িত্বে থাকা প্রত্যেকটি টিমেরই প্রাথমিক ধারণা পেশাদার খুনিরাই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পেশাদার খুনিরাই মা ও মেয়ে দুজনকে হত্যা করতে পারে। আর সেক্ষেত্রে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহের তির বরাবরই নিহতদের আত্মীয় স্বজনের দিকে। রহস্য উদঘাটনে তাই কয়েকজন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে মন্তব্য না করলেও হত্যাকান্ড হিসেবেই ঘটনাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) হাসান মো. শওকত আলী। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের পর নিহত মনোয়ারা বেগমের গলায় কাপড় পেঁচানো ছিল এবং মেয়ে মেহেরুন নেছার মাথার পেছনে জখম ও বাসার মেঝেতে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

.

পিবিআই পরিদর্শক (চট্টগ্রাম মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পেশাদার কিলারের সাহায্যে দুজনকে খুন করে পানির ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছে। কারা কিভাবে এবং কেন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে নিহতদের স্বজনদের মধ্য থেকে কেউ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করা হতে পারে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।

হত্যাকান্ডটির মূল অপরাধীদের সনাক্ত করতে প্রশাসনের পৃথক পৃথক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার ক্লু উদঘাটনে নিহতের কয়েকজন স্বজনকে থানায় পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে  মেহেরুন নেছার অপর এক বোনের ছেলে বেলাল উদ্দিন (৫০) সাংবাদিকদের জানিয়েছে প্রভাবশালী একটি গ্রুপ তার খালার বাড়ি ও সম্পত্তি দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করছে। বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেছে এমনকি বাড়িটি বিক্রি করে দেয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। তার ধারণা তারাই সম্পত্তি ও বাড়ির লোভে খালা ও নানীকে হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য : রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা আমবাগান ফ্লোরাপাস রোড আটার মিল এলাকার একটি পানির ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চাঁদপুর জেলার মতলব পুরানবাজার এলাকার ফজলুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৯৪) ও তার মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকতা শাহ মেহেরুন নেছা বেগম (৬৭)র লাশ। সম্পর্কে তারা মা ও মেয়ে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে লাশ দুটি পানির ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা করছে পরিকল্পিত হত্যার পর লাশ দুটি পানির ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়া হয়েছিলো।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট