
চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান মো. ইলিয়াস ব্রাদাসের ১৫৫ কোটি টাকা আত্মসাতে সহযোগীতার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। চলতি বছরের ১৬ মে নগরীর ডবলমুরিং থানায় দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলমের দায়ের করা মামলায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
একই মামলায় অন্য এক আসামি হজ্ব পালনে সৌদি আরবে গমণের কাগজ পত্র আদালতে প্রদর্শণ করায় শর্ত সাপেক্ষে তাকে জামিন দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা আসামিদের জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার হোসেন লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রয়াত্ত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের খাদ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মোহাম্মদ ইলিয়াছ ব্রাদার্সে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি বছরের ১৬ মে দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তারা ঋণ মঞ্জুরি, ক্রেডিট কমিটির শর্তানুযায়ী ঋণপত্র খোলা, ঋণ বিতরণ, আমদানিকৃত মালামালের বিক্রিত মূল্য থেকে যথাসময়ে টিআর ঋণ সমন্বয় নিশ্চিত করেননি।
আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরিত আসামিরা হলেন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাস (৬৩), প্রিান্সপাল অফিসার/ম্যানেজার মো. শাহজাদুল আলম (৪৯), সাবেক সহকারি মহা ব্যবস্থাপক ইয়াসিন ফারুকি (৫৬) ও সাবেক উপ মহা ব্যবস্থাপক নুরুল আমিন (৫৬)। এছাড়া একই মামলায় সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জোনায়েদ বোগদাদী (৬১) হজ্ব পালনে সৌদি আরব গমণের কথা জানালে তার সমস্ত কাগজপত্র প্রদর্শণ সাপেক্ষে জামিন দিয়েছে আদালত।
এর আগে গত ২৮ মে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন আসামিরা। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় নিন্ম আদালতে গত ৮ জুলাই হাজির হলে আদালত ১৭ জুলাই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য করেন।
মামলার এজহারে অভিযোগ আনা হয়েছে ‘মোহাম্মদ ইলিয়াছ ব্রাদার্স’ এর পরিচালকরা ব্যাংকের অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত পাম ওয়েল আমদানি করে। আমদানিকৃত পণ্য বিক্রয় করার পর ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেননি। উল্টো তিনটি টিটিআর ঋণ বাবদ মোট ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া তারা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করেন। তাদের এই কাজে সহায়তা করেন অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
*চট্টগ্রামে ইলিয়াস ব্রাদার্স ও অগ্রণী ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা