ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পোশাকের সঠিক রঙ নির্বাচন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

প্রতিটি রঙের একটি নিজস্ব ভাষা আছে, যা শরীর ও মনে প্রভাব রাখে। লাল রং শক্তি, কর্মোদ্যোগ এবং পরিবর্তনের প্রতীক। আনন্দ ও সুখের রং কমলা। নিরপেক্ষতা-নির্লিপ্ততা এবং বুদ্ধির রং হলুদ। সবুজ রং ঐক্য, সমবেদনা এবং প্রশান্তির প্রতীক। শান্তির রং নীল।

আসমানি রং কল্পনা এবং অনুমান শক্তি বৃদ্ধি করে। বেগুনী রং অনুভূতিশীল এবং শিল্পমনা হতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। প্রতিটি রঙেরই আলাদা আলাদা আবেদন রয়েছে। পোশাকের ক্ষেত্রে রঙের নির্বাচন তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ঋতু বৈচিত্রের ওপর রং নির্বাচন করা হয়ে থাকে।

ফ্যাশনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে পোশাকের রঙ। পোশাকের রঙ নির্বাচন সঠিক হলে ফ্যাশন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ফ্যাশন সচেতন প্রতিটি ব্যক্তি পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে রঙ নির্বাচনে তৎপর। পোশাকের রং সঠিক হলে নিজেকে মানানসই করে ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়ে পড়ে। রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া একটি বিবেচ্য বিষয়। এ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

সময় ও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক পরিধান করি। সেসব পোশাকের রং বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পোশাকের রং হিসেবে প্রথম পছন্দ আরামদায়ক রং। আসুন জেনে নিই কোন অবস্থায় কেমন রং আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে—

ফ্যামিলি পার্টিতে:
পার্টির পোশাক তুলনামূলক গর্জিয়াস হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পোশাকের রং উজ্জ্বল বর্ণের হলেই ভালো। তবে গরমের সময় রাতের বেলায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকে। সে সময় পোশাকের রং হাল্কা উজ্জ্বল হলে ততটা সমস্যার হবে না। ফ্যামিলি পার্টিতে গাঢ় বর্ণের পোশাক পরিধান স্বস্তিদায়ক এবং বেশ আকর্ষণীয় হয়। হাল্কা মেরুন, গাঢ় স্কাই, মেজেন্ডা, সিলভার, বলটপ গ্রিন, গাঢ় গোলাপি, মাটি বর্ণের রং এ ধরনের পার্টির পোশাকে ব্যবহার করা যেতে পারে; যা পরিধানে আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং মানানসই হবে।

বেড়াতে যাবার সময়:
বেড়াতে গেলে সাধারণত বেশ কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করতে হয়। দীর্ঘ ভ্রমণ ও ভিন্ন আবহাওয়া তখন বেশ ক্লান্ত করে তোলে। তাই এক্ষেত্রে আরামদায়ক রঙের পোশাক পরিধান বেশ কার্যকর। যার ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেড়ানো সম্ভব হয়ে ওঠে। গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া বেশ গরম থাকায় মানানসই ও হাল্কা বর্ণের পোশাক পরিধান বেশ প্রাণবন্ত করে তুলবে আপনাকে।

অফিসের ক্ষেত্রে:
সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অফিসে তুমুল কর্মব্যস্ত থাকতে হয়। আর গরমে মানুষ এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে হাঁপিয়ে ওঠে। এ সময়টুকু যদি আরামদায়ক রঙের পোশাক পরিধান করা না হয়, তাহলে গরম আবহাওয়া প্রচণ্ডভাবে দেহ ও মনকে বিধ্বস্ত করে তুলবে।

আবহাওয়ার প্রতি লক্ষ রেখে অফিসের পোশাকের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাদা, পেস্ট, অ্যাশ, লাইট স্কাই, ঘিয়ে, মিষ্টি গোলাপি ইত্যাদি রং প্রাধান্য দিতে হবে। বিশেষ করে হাল্কা বর্ণের পোশাক পরিধানে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার ক্লান্তিতে কিছুটা হলেও প্রশান্তি এনে দেয়। অফিশিয়াল পোশাকের ক্ষেত্রে ফুল স্লিভ শার্ট, থ্রি-পিস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের হাল্কা বর্ণের পোশাক বেশ মানানসই করে তোলে।

ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রে:
সাধারণত ক্যাম্পাসের পোশাক হিসেবে অধিকাংশ ছাত্ররা শার্ট, প্যান্ট ও টি-শার্ট এবং ছাত্রীরা থ্রি-পিস পরিধান করে থাকে। দীর্ঘক্ষণ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হয় তাদের। সাধারণত অধিকাংশ ক্যাম্পাসের ক্লাস হয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। গ্রীষ্মকালে এ সময় প্রচণ্ড তাপদাহ থাকে। তাই গরম আবহাওয়া সবাইকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পোশাকের রং নির্বাচন অতি জরুরি। হাল্কা বর্ণের পোশাক পরিধানে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। হাল্কা সবুজ, সাদা, অ্যাশ, হলুদ, গোলাপি, ঘিয়ে, কলাপাতা বর্ণের পোশাক পরিধান করলে গরম আবহাওয়ায় বেশ প্রফুল্ল মনে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা যায়। হাল্কা বর্ণের পোশাকের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম থাকায় গরম আবহাওয়ায় দেহকে বেশ শীতল রাখে। তাই হাল্কা বর্ণের পোশাক গ্রীষ্মকালে পরা তাই বেশ আরামদায়ক।

আড্ডার ক্ষেত্রে: তরুণ প্রজন্ম মানেই আড্ডাপ্রিয়। এ সময় বিভিন্ন সাম্প্রতিক ও শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে তারা। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকেল বা সন্ধ্যায় আড্ডায় মেতে ওঠে। এ সময় আবহাওয়ায় কিছুটা ঠাণ্ডা পরিলক্ষিত হয়। আবহাওয়ায় গরম না থাকায় পোশাক পরিধানে তেমন সমস্যা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরুণদের আড্ডার সময় হাফ স্লিভ টি-শার্ট পরিধান করতে লক্ষ করা যায়। এ সকল টি-শার্টের রং হয় সাধারণত হোয়াইট, পেস্ট, পেক্টোল, ক্রিম, বিস্কিট, সিলভার, ফিরোজা, হলুদ, হাল্কা সবুজ। বিকেল ও সন্ধ্যায় আড্ডার সময় এ সকল রঙের হাফ স্লিভ টি-শার্ট পরিধানে নিজেকে বেশ প্রাণবন্ত ও উৎফুল্লভাবে উপস্থাপন করা যায়, যা আড্ডাকেও বেশ আনন্দঘন করে তোলে।

আরও কিছু টিপস:
আপানার গায়ের রং, উচ্চতা, ওজন সবকিছুর সাথে মিলিয়েই পোশাক নির্বাচন করুন।

অনেকের থাই মোটা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে টাইট সালোয়ার না পরে, সেমি ফিট বা ঢোলা সালোয়ার পরা উচিত। তাদের লেগিংস এড়িয়ে চলাই ভালো।

অনেকের হাত শুধু মোটা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে ছোট হাতার পোশাক না পরে কোয়ার্টার বা লং হাতার পোশাক পরা উচিত।

মোটা হলে শাড়িতে কুচি একটু কম দিতে হবে, আঁচল বড় রাখতে হবে। চিকন হলে কুচি বেশি দিতে হবে।

ব্লাউজের ক্ষেত্রে যারা মোটা, তারা ছোট প্রিন্টের বা চেকের স্ট্রেইট কাটের থ্রিকোয়ার্টার ব্লাউজ পরতে পারেন।

যাদের কাঁধ চওড়া তারা ভি শেপের গলা দিতে পারেন। এতে চওড়া কম দেখাবে। পোশাক আপনার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং আপনি হয়ে উঠবেন নিজ ভুবনে অনন্য।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print