
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা, সেই মুক্তিযোদ্ধারা আজ অবহেলিত।
তিনি আজ ১ আগস্ট বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হল রুমে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোজাহেরুল হক চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।
শাহাদাত বলেন- মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরীর মত মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ জিয়ার ডাকে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে আজ দেশ স্বাধীন করেছে। সেই দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নেই, ভোট দেয়ার অধিকার হরণ করেছে, সব অধিকার হরণ করেছে।
তিনি বলেন, সরকার তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশাল এবং রাজশাহীতে ভোট ডাকাতির এক বিরল নজির সৃষ্টি করেছে, যা দেখে দেশবাসী আজ হতবাক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে না হলে সেই নির্বাচন হবে তামাশার নির্বাচন।
শাহাদাত আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন, খালে বিলে আজ লাশ আর লাশ। এ রকম স্বাধীনতা চায়নি মুক্তিযোদ্ধারা, তারা এমন একটি দেশ চেয়েছে যে দেশে সকল মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে চলতে পারবে। কিন্তু আজ দেশে চলছে একদলীয় শাসন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবাংয়ন করতে হলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকল মুক্তিকামী জনতাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে রাজপথে থাকতে হবে। রাজপথ দখলে নিয়ে দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন দেশে আইনের শাসন নেই, নেই মানবিক মর্যদা, মানবাধিকার নেই ও স্বাধীনতা ভুলুণ্ঠিত।
মোজাহের-মরজান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মারুফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও এ কে এম আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মো: আলী, হারুন জামান, উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, নবাব খাঁন, সি.যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহ আলম, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, মনজুরুল আলম মঞ্জু, সাইফুর রহমান বাবুল, জাকির হোসেন, নূর হোসেন, নুরুল হুদা নাসের, মহিলা দলের জেলী চৌধুরী।