ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বাবা আজিজের ইমেজের সাথে বিরাট ফারাক বাহারের

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক এম,এ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার চট্টগ্রাম সংসদীয় আসন ১০ থেকে মনোনোয়ন চান। কাজে লাগাতে চান বাবার ভোট ব্যাংককে।  কিন্তু বাবার ইমেজের সাথে নিরাট ফরাক ছেলে বাহারের। তাই এলাকাবাসীর কাছে বাবার সমর্থনের জায়গাটিতে যেতে পারেনননি বাহার, অভিযোগ ও অভিমত এলাকাবাসীর।  তারপরও চট্টগ্রাম -১০ আসন থেকে মনোনোয়নের ব্যাপারে আশাবাদী সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার।

চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৮৭ নং আসন। এ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ০৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আফসারুল আমিন শতভাগ ভোট পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। কারন তার সাথে সে সময় বিএনপির কেউ প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলো না। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে আওয়ামীলীগ থেকে আব্দুল লতিফ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯১ (শতকরা ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ) ভোট, বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৬ ভোট (৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ), অনান্য ৮ প্রার্থী ১২ হাজার ২২৩ ভোট (শতকরা ০৩ দশমিক ৮ শতাংশ) ভোট পান।

এদিকে মনোনোয়নের ব্যাপারে আশাবাদের কথা ব্যক্ত করে সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার বলেন, ১৪ বছর ধরে আমি আওয়ামী রাজনীতি করছি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তিনি। তার বাবা এম,এ আজিজ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক। আর তার পরিবার রাজনীতিসমৃদ্ধ পরিবার। তাই তার রাজনীতিতে আসা। গতবার মনোনোয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি করতে লক্ষ্য থাকতে হয়। বিকশিত হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। জনগণের সেবা করার সুযোগ থাকে। আর জনগনের সেবা করতে গেলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আর তা হয় মনোনোয়নের মাধ্যমে। তার বাবা নৌকার হাল ধরেছিলেন। জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠিত সাধারন সম্পাদক ছিলেন ও তার বাবা। আর এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে তার ছিলো সম্পৃক্ততা।

কিন্তু আর এসব বক্তব্যর সাথে ভোটের মাঠে তার কর্মদক্ষতার কোন মিল নেই বলেই এলাকাবাসীর অভিযোগ। কারন তিনি এলাকার জনগনের পাশে থাকার চেয়ে মিটিং-মিছিলে উপস্থিত হয়ে শোডাউন করতেই বেশি ব্যস্ত দেখা যায়, এ অভিযোগ ও এলাকাবাসীর।

জানা যায়, এম, এ আজিজ ১৯২১ সালে চট্টগ্রাম জেলার হালিশহরে তাঁর জন্ম। পিতা মোহাববত আলী ও মাতা রহিমা খাতুন। এম.এ আজিজ ১৯৪০ সালে পাহাড়তলী রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এ সময়ে তিনি অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগে যোগ দেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ১৯৪৪ সালে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয। এরপর তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তিনি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ভাষা আন্দোলনের পরপরই তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন।

এম.এ আজিজ ১৯৫৩ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে ৯২-ক ধারা জারি হলে সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬-দফা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৬৬ সালের ৮ মে নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন। সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৭০ সালের ১৮ জুলাই তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। এম.এ আজিজ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কোতোয়ালী-ডবলমুরিং আসন থেকে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এম.এ আজিজ ১৯৭১ সালের ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর নামানুসারে চট্টগ্রাম ষ্টেডিয়ামের নামকরণ হয়েছে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম।

মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে কোন ধরনের দ্বন্দ্বে না গিয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব মোতাবেক নিজের এলাকার বিভিন্ন সমস্যা থেকে উত্তোরনের উপায় বের করার কাজে নিয়োজিত করব। জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট উন্নয়নে সচেষ্ট থাকব। যা যুক্তিসঙ্গত, তা পার্লামেন্টে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রীয় উদ্যেগে বিশেষ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উন্নয়নে সচেষ্ট থাকব বলে জানান সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার।

নগরীর কোতোয়ালি ও বন্দর থানার কিছু অংশ কেটে নিয়ে এ আসনটি গঠিত হয় ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একে খান রোড জাকির হোসেন রোড জিইসি, দুই নম্বর গেট, ষোলশহর ও মুরাদপুর এলাকার ভয়াবহ যানজট ও জলাবদ্ধতা এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। ভোটের মাঠে এসব নাগরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তাই নাগরিক সমস্যা ভোটে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ভোটাররা। তাই চট্টগ্রাম ১০ আসনে যে দল থেকেই হোক, যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হোক বলে জানান অনেক ভোটার।

ঝাউতলা কেলোনীর রাসেল সিকদার জানান, এম,এ আজিজের ছেলে বাহার বাবার মতো এক রাজনৈতিক পারদর্শী মনে হয়না আমাদের কাছে। রাজনৈতি মাঠে দীর্ঘ অনুশীলন করা লোক দরকার এ আসনে। যিনি নাগরিক সমস্যা বুঝবেন। নগরের উন্নয়নের কথা ভাববেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print