
চট্টগ্রামের পশ্চিম মাদাবাড়ি এলাকায় পারিবারিক সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে নিজের ভাইকে হত্যা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণপিটুনির শিকার হয়েছে আব্দুর রউফ (৩৮) ও ভাইপো আরশাদুর রহমান অপু (৩২)। পুলিশ অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি টং ফকিরের মাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
সিএমপির সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রউফ ও অপুর কাছ থেকে ইটালির তৈরি একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়,
পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের চার ছেলে। এর মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। জীবিত আছেন আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রউফ। অপু মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। আব্দুর রাজ্জাক এসআরবি এলাকার একটি ভাতের হোটেলের ম্যানেজার।
পশ্চিম মাদারবাড়ির এসআরবি এলাকায় পৈতৃক বাড়িতে বাস করেন তিন ভাইয়ের পরিবার ও মৃত আবুল কাশেমের বৃদ্ধা স্ত্রী। আব্দুর রউফ তার পরিবার নিয়ে একই এলাকায় যুগী চাঁদ মসজিদ লেনে আলাদা বাসায় থাকেন। তিন মাস আগে রাজ্জাক ও রউফের মধ্যে জামি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। আবার অপুর স্ত্রীর সঙ্গে একই ভবনে বসবাসকারী তার চাচিশাশুড়ি রাজ্জাকের স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। যে কারণে রউফ এবং অপু রাজ্জাককে ঘায়েল করার পরিকল্পনা করে।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ঈদের দিন (২২ আগস্ট) দুপুরে রউফ এবং অপু মিলে রাজ্জাক ও তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে তারা রাজ্জাককে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাজ্জাক বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানান। সেই অনুযায়ী, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পুলিশ অবস্থান নেয়। রাজ্জাককে খুঁজতে রউফ ও অপু ভাতের হোটেলে আসে এবং চিৎকার করে।
একপর্যায়ে তারা পিস্তল উঁচিয়ে রাজ্জাককে গুলি করে হত্যার হতে থাকে। এসময় স্থানীয় জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ঘিরে ফেলে ধরে গণপিটুনী দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, পিটুনিতে আহত হওয়ায় অপুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।