
গিয়াস উদ্দিন রনি, কোম্পানীগঞ্জ-নোয়াখালীঃ
দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর বোর্ড অফিসের সামনে কালভার্টের উপর দিয়ে ঘেঁষে- পশ্চিম বাহাদুরপুর হাজারী কোম্পানী বাড়ি পর্যন্ত এবং ছাবির চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে থেকে আল-মদিনা একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের বেহলা দশা। এসড়কটির এমন অবস্থা যাহা সর্ব সাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এ সড়কটি ২০০৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মান কাজ করে। এসড়কটি নির্মানের পর থেকে এ যুগ পেরিয়ে গেলেও কোন সংস্কার কাজ হয়নি। এ সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার বিটুমিন ও খোয়া উঠে তৈরি হয়ে ছোট বড় অসংখ্যা গর্ত। এসড়কের এমন বেহাল অবস্থা কোথাও কোথাও পাকা রাস্তার অস্তিত্ব নাই। এতে প্রায় ঘটছে র্দুঘটনা। যার ফলে এলাকাবাসী ও পথচারীদের চরম দুভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা জানায় , কৃষ্ণরামপুর বোর্ড অফিসের সামনে কালভার্টের উপর দিয়ে ঘেঁষে- পশ্চিম বাহাদুরপুর হাজারী কোম্পানী বাড়ি পর্যন্ত এবং ছাবির চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে থেকে আল-মদিনা একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কটি গত ৫ বছর আগে থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শতশত যানবাহনও হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। এসড়কটি ২০০৪ সালের মে মাসের নির্মাণের পর থেকে আর সংস্কার না হওয়ায় বিটুমিন অধিকাংশ স্থানে উঠে গেছে। এমনকি অনেক স্থানে সড়কের এতো বেহাল পাকা রাস্তার কোন অস্তিত্ব নাই।
সিএনজি অটোরিকসা চালক বাবু দাস জানান, রাস্তায় গর্ত হওয়ার কারণে প্রতিদিনই ছোট বড় র্দুঘটনা ঘটছে। তাছাড়া রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে সিএনজি অটোরিকসা প্রায় সময় বিকল হয়ে যায়।
স্থানীয় প্রতিবেশী মো. ফরহাদ মিয়া, তারেক, রাসেল ও মানিক জানান, এক যুগ আগে এ রাস্তার নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে কোন প্রকার সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার পিচ উঠে গেছে এমনকি রাস্তা কংকিট গুলো বিভিন্ন স্থানে সরে গেছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত র্দুঘটনা ঘটছে। এছাড়াও এসড়ক দিয়ে কোন গর্ভবতি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল্লা আল মামুন জানান, রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছরে সংস্কারের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।