
তৃনমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, বর্তমানে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চলছে। দেশে এখনো স্বৈরাচার রয়েছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের তৃনমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দুই নেত্রীকে দায়ি করে বলেন, এখনো দুই নেত্রী ঝগড়ায় লিপ্ত আছেন। তারা যদি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ মিটিয়ে ফেলেন তাহলে দুজনে মিলে দেশকে অনেকদুর এগিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তা না করে তাঁরা দুজনে এখনো একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।
নাজমুল হুদা বলেন, আমি বাধ্য হয়ে বিএনপি ছেড়েছি। দেশের স্বার্থে আমি বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছিলাম ৫ জুন সংলাপে বসতে। তিনি সংলাপে বসেননি। সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা সংলাপের ডাক দিতে পারতেন। যেহেতু তিনি দেননি, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়া সংলাপের আহবান জানাতেন তাহলে দেশে আজ এত হানাহানি হতো না। বেগম জিয়া আমারা কথা না রাখায় আমি ওয়াদা মত ৬ জুন বিএনপি ছেড়ে আলাদা হয়ে যাই।
ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলা। তিনি ইচ্ছে করলে সবকিছু করতে পারেন। তিনি দিতেও পারেন আবার নিতেও পারেন।
তিনি বলেন, দেশ আজ রাজনৈতিকভাবে ধরাশায়ী। রাজনীতিতে সবাই এখন মুখোমুখি অবস্থান করছে। হিংসা প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে দেশে। বর্তমানে দেশে এক হিং¯্র পরিস্থিতি বিরাজ করছে ।
আমাদের দেশে অনেক সম্পদ রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতি স্থিতিশীলতা এবং সদিচ্ছার অভাবের কারণে আমরা পিছিয়ে আছি।
সাবেক এ বিএনপি নেতা আরো বলেন,আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে রাজনীতি করেছি। তর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে রাজনীতিতে আসি। কিন্তু জিয়াউর রহমান যে ভাবে বিএনপিকে দেখতে চেয়েছিলেন সে বিএনপি এখন আর নেই। বিএনপিতে এখন যোগ্যদের পরামর্শ গ্রহন করা হয়না। আমি দু নেত্রীর মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহন করেও তাঁদের সদিচ্ছার কারণে তা সফল হয়নি।
নাজমুল হুদা বলেন, বর্তমানে স্বৈরচারী কায়দায় দেশ চলছে। দেশে এখনো স্বৈরচার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করছি জনগনের জন্য। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপদ রাজনীতির পরিবেশ আনতেই আমার সংগ্রাম। প্রশাসনে দলীয় করন বন্ধ এবং সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা বাস্তবপক্ষে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে।
আগামী নির্বাচন হবে সকলের অংশ গ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠ। নির্বাচনে জনগনের আশার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সংসদ হবে জনগনের সংসদ। যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন তারা হবেন জনগনের সেবার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
আগামী নির্বাচনের আগে সারা দেশে তৃনমুল বিএনপিকে শক্তিশালী করা হবে। এর পর ইসি’র শর্ত পূরন সাপেক্ষে নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে তৃনমুল বিএনপি। বিশ দল এবং ১৪ দলের মত বিএনএ হবে আরেকটি শক্তিশালী জোট।
তৃনমুল বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা আবেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আক্কাছ আলী খান,সাবেক ছাত্র নেতা এড.মাসুদ, আমিনুল ইসলাম মুন্না, মঈনুল ইসলাম ফারুক পাঠোয়ারী, শ্রমিক নেতা সরোয়ার জাহান জামিল, মো. শামীম হাছান, এইচ এম শামীম, আবুল বরকত আকাশ,ডা. মাহমুদুল হাছান, মো. শাহজাহান প্রমুখ।
সভায় মো. আমিনুল ইসলামকে আহবায়ক ও জামাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট তৃনমুল বিএনপির মহানগর আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।