
জেলার ফটিকছড়ির ভুজপুরে সরকারী বন বাগানে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ কালে দুর্বৃত্তদের হামলায় আবদুচ ছালাম (৫০) নামে এক বন প্রহরী নিহত হয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করেছে।
আজ বুধবার দুপুর দেড়টায় উপজেলার ভুুজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের চুরামনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরো ৩ বন প্রহরী আহত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নারায়ন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,হাসনাবাদ বিটের আওতাধীন সরকারী সংরক্ষিত বন বাগান উজাড় করে সেখানে অবৈধ পাকা বসতি নির্মান করছিল। বুধবার সকালে সেখানে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে যায় হাসনাবদ ও তারাখোঁ বিটের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এসময় অবৈধ বসতি নির্মানকারী জনৈক নজিরুল গংরা বাধা সৃস্টি করে। এক পর্যায়ে ২০ /৩০ নারী পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে চারিদিক থেকে বন কর্মীদের ইট পাটকেল মারতে থাকে। নির্মানাধীন ঘরটির একটি দেয়ালের কিছু অংশ ভাঙ্গার পর অবস্থা বেগতিক দেখে বন কর্মীরা উচ্ছেদ না করে ফেরত আসার সময় তাদের উপর লাটিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় স্থানীয় মনুয়ারখীল বাজারে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে বন প্রহরী আবদুচ ছালাম (৫০) ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন বন প্রহরী আবুল কালাম আজাদ, মো.মামুন ও ছাদেক। আহতদের মধ্যে ছাদেকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান বিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম আরো বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান জানে আলমের বিরুদ্ধে গত কিছুদিন আগে একটি বন মামলা হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ বন বিভাগের কর্মকর্তাদের গনপিটুনি দিয়ে মারাবেন বলে হুমকি দেন। চেয়ারম্যান বেশ কয়েকবার এ ধরনের পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়। এর আগে চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের সাবেক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ চেয়ারম্যানের দখল থেকে বনবিভাগের বিপুল পরিমান জায়গা উদ্ধার করেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন এসব ঘটনা প্রবাহে প্রতিশোধ নিতে চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জানে আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বিকার করে ঘরের মালিক নজিরুল জানান,পুরানো ঘরের বারিন্দা বাড়াতে গেলে হাসনাবাদ বিট কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। নজিরুল আতিক এবং অন্য দুই স্টাফকে ১৫ হাজার টাকা দেন। বাকী টাকা না দেয়ায় আজকে তারা ঘর ভাংগতে যায়। বন কর্মচারী হত্যার ঘটনায় তার পরিবার জড়িত নয় বলে দাবী নজিরুলের।
এদিকে ভুজপুর থানার ওসি মো.বায়েছ আলম ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে বলেন এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করা হরেছে বলেও জানান ওসি বায়েছ।