ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আদালতের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের যা বলে তাই রায় হয়ে যায়

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও আদালতের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের যা বলে তাই রায় হয়ে যায়। এখন জোর যার মুল্লুক তার অবস্থায় দেশ চলছে। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আরেকটি মিথ্যা সাজা দেয়ার জন্য অসাংবিধানিকভাবে কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে।

তিনি আজ (১০ সেপ্টেম্বর) সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে অসাংবিধানিকভাবে কারাগারে আদালত বসানো এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে নগরীর কাজী দেউরী নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে, অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী হবেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫২ ধারায়ও বলা আছে, আদালত উম্মুক্ত থাকবে। বাদী এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবিরা সম্মত হলেই গেজেট প্রকাশিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদার জিয়া বাম হাত প্রায় অবশ হয়ে গেছে। ঘাড়েও প্রচন্ড ব্যথা। তাকে থেরাপী দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাবরিনা সুলতানাকে নিয়োগ দেয়া হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে বাদ দিয়ে আরেক জনকে দায়িত্ব দিয়েছে। যেখানে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উন্নত চিকিৎসার পাওয়ার কথা সেখানে তাকে ম্যাানুয়ালি দুর্বল থেরাপি দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া জেল কোড অনুযায়ী এবং তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে কারাগারে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ১ সেপ্টেম্বরের মহাসমাবেশের পর থেকে প্রতিটি থানায় বিএনপি নেতা কর্মীদের আসামী করে সরকার শত শত মামলা দায়ের করেছে। যাতে যে কোন নেতাকর্মীকে যখন খুশি তখন জেলে ভরা যায়। আতংকিত সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যেও আতংক ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। জনগণের মধ্যে আওয়ামী নির্যাতনের যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যে কোন সময় তার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। নৌকা এখন নিমজ্জমান, তাই ভয়ে খড়কুটো আটকে ধরে বাঁচতে চাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন চলছে। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা আজ পদদলিত। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। গুম, খুন আমাদের চারপাশে কালো কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়ায়। এজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে দেয়া হয়েছে দায় মুক্তি। তারা মানুষ ধরে ক্রসফায়ারের নামে খুন করছে। আর এইসবের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে পৈশাচিক নির্যাতন। বিরোধী দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে। দেশব্যাপি এক নৈ:শব্দ বিরাজ করছে। এ এক সর্বগ্রাসী ঝড়ের পূর্বাবাস।

কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে ব্যাংকগুলো আজ ফোকলা হয়ে গেছে। কোন কোন ব্যাংকের দেওলিয়া অবস্থ। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সরকার কিছুতেই প্রকাশ হতে দিতে চাইছে না। সড়ক ও সেতু ভবন নির্মাণে সরকারের ঘনিষ্ট ঠিকাদারেরা রড়ের বদলে বাশ ব্যবহার করছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেছেন, সরকার বুঝতে পেরেছে যে, তাদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। দাঁড়ানোর কোন শক্ত জমিন তাদের নেই। তাই সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অবিরাম আবোল তাবোল বকতে শুরু করেছে। দুয়ে দুয়ে চারের বদলে তারা চার’শ হিসেব করছে। গণরোষের ভয়ে আতংকিত সরকার পাতা নড়ার শব্দেও চমকে উঠছে। জোরে জোরে হাকঢাক দিয়ে শূন্যে লাঠি ঘুরাচ্ছে। কিন্তু এ রকম পথে কোন উৎপীড়ক সরকারের শেষ রক্ষা হয় না।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সামশুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, সফিকুর রহমান স্বপন, সৈয়দ আহমদ, সাবেক কমিশনার মাহবুবুল আলম, লায়ন কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহআলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ শিহাব উদ্দীন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লা বাহার, সম্পাদকবৃন্দ হাজী নুরুল আকতার, ডা. এস এম সরোয়ার আলম, দিদারুল আলম চৌধুরী, ইব্রাহিম বাচ্চু, আবদুল নবী প্রিন্স, মশিউল আলম স্বপন, জিয়াদ্দন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, থানা সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাইফুর রহমান বাবুল, মোশারফ হোসেন ডেপতি, হাজী হানিফ সওদাগর, কাউন্সিলর মো. আজম প্রমুখ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print