ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ঢাবিতে সহাবস্থান চায় ছাত্রদল, পেট্রোল বোমা না থাকলে আপত্তি নেই ছাত্রলীগের

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চায় ছাত্রদল। আর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পকেটে পেট্রোল বোমা না থাকলে এই সহবস্থানে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পর উভয় ছাত্র সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠন ডাকসুর নির্বাচনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপাচার্য আখতারুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার পাঁচদিনের মাথায় এ নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আজ রোববার সকালে বৈঠকে বসে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা অংশ নেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান। শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ছাত্রলীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যত দ্রুত সম্ভব ডাকসু নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছে। তাদের এই দাবির বিরোধিতা করেছেন অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতারা। তারা নভেম্বরের মধ্যেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন চান। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও ডাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে গড়িমসি করা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য তাদের।

বৈঠকের এক ফাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, ‘ডাকসু একটি জাতীয় ইস্যু। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বন্ধ থাকা এই নির্বাচন কয়েক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরে যত দ্রুত সম্ভব ডাকসু নির্বাচন করা হোক।’

অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন চেয়ে আসছি। দ্রুত ডাকসু নির্বাচন করা হোক। নভেম্বরের মধ্যে হলে ভালো হয়।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চাই। জাতীয় নির্বাচনের আগে হোক বা পরে হোক। ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের আন্তরিকতা খুবই প্রয়োজন।’

গত বুধবার হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ডাকসুর নির্বাচনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান ও ট্রেজারার কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবি প্রশাসন ছাত্র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়। গত ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়। তবে কয়টি সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।

অন্যদিকে ছাত্রদলের প্রতিনিধি দলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা দিয়ে আলোচনা সভাস্থলে নিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন সহকারী প্রক্টর। ছাত্রদলের পক্ষে আলেচনায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী।

ডাকসুর বিধান অনুযায়ী প্রতি বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ২৮ বছর আগে ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। আর সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। এরপর প্রতিটি রাজনৈতিক সরকার এই নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও আর ভোট হয়নি।

কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা নেই বলে মনে করা হয়। এতে মূলধারার রাজনীতিতে যেমন নতুন নেতা তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ছাত্র সংগঠনগুলোও শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্রতি উদাসীন হয়ে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে বলেও নানা সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে আসছেন।

ডাকসু নির্বাচন চেয়ে নানা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গত সমাবর্তনে এই নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও। কিন্তু এরপরেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

২০১২ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনও জবাব না দেওয়ায় ২০১২ সালে ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।

এরপর একই বছরের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে বিবাদী করা হয়।

পরে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

তবে সে নির্দেশ অমান্য করায় গত ঢাবি ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print