ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নিউমুরিং এ হত্যার ১১দিনের মাথায় ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিং বোবা কলোনী এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ মাটির নীচে চাপা দেয়া হয়। ১১দিনের মাথায় পুলিশ গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বুধবার মধ্যরাতে মোহাম্মদ সাঈদ হোসেন (৪০) নামে এ ব্যাক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করেছে। এবং খুনের সাথে জড়িত তার ব্যবসায়িক পার্টনার এরফান উদ্দিন কবির ও আরমান কবির নামের দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে।

ব্যবসার জন্য নেয়া প্রায় এক কোটি টাকা ফেরত চাওয়াই সাঈদ হোসেনকে নিজ বাসায় ঢেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করেছিল অভিযুক্তরা।

সিএমপির ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) উৎপল বড়য়ুা জানান, পাওনা টাকা দেয়ার কথা  বলে মোহাম্মদ সাঈদ হোসেন ডেকে নিয়ে  হত্যাকরে লাশ মাটিতে পুতে ফেলেছেন অভিযুক্তরা।  এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের পর আমরা বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাটি খুঁড়ে আমরা সাঈদের গলিত লাশে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।  এবং মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামীর মধ্যে প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।

নিহত সাঈদ নগরীর গোসাইল ডাঙা এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়ির আজমল হোসাইনের ছেলে।  তিনি স্ত্রী ফরিদা আকতারকে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানার লালখান বাজারের, হিলসাইড আবাসিক এলাকার দি ম্যাগনেফিসেন্ট বিটিআইয়ে ফ্ল্যাটে থাকতেন।

নিহতের স্ত্রী ফরিদা আক্তার জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে আমার স্বামীকে বাসা থেকে নিউমুরিং বোবা কললোনীর জসিম বিল্ডিংয়ের তাদের ভবনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আমার স্বামী বাসায় না ফেরায় ঐ রাতে আমি আমার কয়েকজন স্বজন পরিচিত লোক নিয়ে সাঈদকে খুঁজতে ঔই ভবনে যাই এবং সাঈদের ব্যবসায়িক পাঠনার এরফান উদ্দিন কবির ও আরমান কবিরকে জিজ্ঞেস করল প্রথমে তারা কোনো সদুত্তর দিতে না পারলেও পরে বলেন-সাঈদকে পাওনা টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। আর সেই টাকা নিয়ে ফেরার পথে ভবন থেকে বের হতেই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

ফরিদা আকতার বলেন, আমার স্বামী নিখোঁজের পর আমরা ইপিজেড থানায় সাধারণ ডাইরি দায়ের করি। জিডি করার পর পুলিশ এরফান ও আরামানকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, কিন্তু তারা কোনো ভাবেই সাঈদের অবস্থান স্বীকার করেনি। জিডি করার কারণে উল্টো ফরিদাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় তারা দু’ভাই।

এদিকে এ ঘটনার ২৫ সেপ্টেম্বর জিডির সূত্রে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সাঈদের স্ত্রী ফরিদা আক্তার। সেই মামলায় আসামী করা হয়, এরফান উদ্দিন কবির (২৬), আরমান কবির (২৪), তাদের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম হিনা (২৩), নাজমুন নাহার (৪৫), মোহাম্মদ জিকু (২২) ও পিয়া আকতার (১৮)।কে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এরফান সম্পর্কে চাচানো বোনের স্বামী ও আরমান তার ভাই হওয়ার কারণে এবং আত্মীয়তার সুবাধে পার্টনারশীপের ভিত্তিতে শেয়ার ব্যবসায় করার জন্য প্রথমে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছেন দুইভাই । আর ওই টাকা আরমানের স্ত্রী নাজমুন নাহারের ব্যাংক একাউণ্টের মাধ্যমেই নিয়েছেন তিনি। পরে ব্যবসা আরো বৃদ্ধি করবে বলে টাকা চাইলে এরফানকে আরো ৮ লক্ষ টাকা দেন সাইদ। পরে সাঈদের কাছ থেকে ব্যবহারের কথা বলে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে একটি মটর সাইকেল কিনেন এরফান।

এদিকে আত্মীয়তার সুবাধে জিকু ও তার স্ত্রী পিয়া আকতার ব্যবসা করার কথা বলে ৮ লক্ষ টাকা দার নেয় সাঈদের কাছ থেকে। পরে পাওয়া টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা না দিয়ে ছলচাতুরী শুরু করে। এরপর টাকা না দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে হত্যা করে বলে ফরিদা আক্তার অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print