
ফ্লাইট রি-শিডিউল করা এবং ৮/৯ ঘন্টা বিমান বন্দরে বসিয়ে রেখে কোন হোটেল না পেয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ বিমানের মাসকাটগামী যাত্রীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিমান বন্দরে ভীতরে অপেক্ষমান অর্ধশতাধিক যাত্রী বিক্ষোভ করেছে। পরে বিমান বন্দর ও বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন।
আটকা পড়া যাত্রী ফারুক মির্জা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দরের ভীতরে আটকা রয়েছি। অসংখ্য যাত্রী এখানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মাসকাটগামী বিমানের সিডিউল সময় ছিল রাত ১০টা। কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে জানায় আজ ভোর ৫টায় বিমান ছাড়বে। তাই সারা রাত কেটেছে বিমান বন্দরের ভিতরে। অথচ ভোরেও ফ্লাট দিতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে সন্ধা ৭টায় ফ্লাট ছাড়বে।
অপেক্ষামান কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, ফ্লাইট বিলম্ব হলে নিয়ম হচ্ছে আট ঘণ্টা অপেক্ষা করলে হোটেল সুবিধা দেবে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে গতকাল রাত থেকে আমরা এখানে সীমাহীন কস্ট পাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, মাসকাটগামী বিমানের ফ্লাইট ছিল রাত ১০টায়। এরপর ভোর পাঁচটায় রি-সিডিউল করা হয়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টায় রি-সিডিউল করা হলে যাত্রীদের মধ্যে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আমরা বিমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে যাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করি। সর্বশেষ বিমানের কর্মকর্তারা যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা থেকে অন্য বিমানে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আশ্বাস দিলে যাত্রীরা শান্ত হন।
জানাগেছে গতকাল বুধবার ইউএস বাংলার একটি বিমানে ক্রুটি দেখা দেয়ার কারণে বিমানটি শাহআমানতে জরুরী অবতরণ করেন। এতে বিমানের সামনে চাকা ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। একারণে বেলা বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ঘন্টা বিমান উঠানামা বন্ধ রাখা হয়। আর এ কারণে বিমানের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে সুত্র জানায়।