
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম, খুন নির্যাতন চালিয়ে একের পর এক গায়েবী মামলা দিয়ে যাচ্ছে। এই ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাছার সরকার ক্ষমতায় মোহে অন্ধ হয়ে আবারো ৫ জানুয়ারীর মত আরো একটি ভোটারবিহীন এক দলীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে।
তিনি শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে গ্রেফতারকৃত বিএনপি যুবদল ছাত্রদল নেতাদের দেখতে গিয়ে তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। ইভিএম বোটের মাধ্যমে বোট গ্রহণের কারচুপি করছে। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, প্রশাসনকে ব্যবহার করে গায়েবী মামলা দিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। প্রতিটি এলাকায় এলাকায় শান্তিপূর্ণ মানুষের ঘুম হারাম হয়েছে পুলিশী গ্রেফতারের ভয়ে। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবী জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মামলা হামলা নির্যাতন বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে আসুন। কোন ফ্যাসিষ্ট সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না। বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীনসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুক্তির দাবী জানান। উল্লেখ্য, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতা কর্মীরা গণতা্িনত্রক আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট তুহিন, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা কাজী শামসুল আলম, আব্দুল্লাহ আল সগীর, হাসান ওসমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য গতকাল রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিএমপি পুলিশ। তারা হলেন- আফতাবুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক বাকলিয়া থানা বিএনপি, সেলিম উদ্দীন রাসেল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, আব্দুল কাদের, সাহজিদ চৌধুরি চিশতি পাঁচলাইশ থানা যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ, মোহাম্মদ জাবেদ, মোঃ জয়নাল চাঁদগাও থানা বিএনপি যুবদল নেতা ও আব্দুল হাকিম ডবলমুরিং যুবদল নেতা।