
বিয়ের অনুষ্ঠানে চিংড়ী মাছ না পেয়ে উত্তেজিত বরের বিরুদ্ধে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। ফলে সংসার গাড়ার আগেই ভেঙ্গে গেলো এ তরুণীর লালিত স্বপ্ন।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বটতলী বাজারের আলভী ম্যারেজ গার্ডেনে এই ঘটনা ঘটেছে। ফলে খালি হাতে নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে যান বর ও কনে পক্ষ (উভয়ের নাম পরিচয় গোপন রাখা হল)।
ঘটনার পর পর স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও জোড়া লাগাতে পারেনি বর কনের।

আনোয়ারা থানা ওসি (তদন্ত) মাহমুব মিল্কী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাঠক ডট নিউজকে বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বরের এগুয়ামী আচরণে বিয়েটা ভেঙ্গে গেছে। এখবর শুনে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরে তা সামাজিক ভাবে মিমাংসা করে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখায় যায় কিনা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আর আমাদেরকে এ ব্যাপারে কিছু জানায় নি। এই নিয়ে কোন পক্ষ থানায় কোনো অভিযোগও করেনি।।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে আনোয়ারা উপজেলার ১১ নং জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের খুরুস্কুল গ্রামের আবদুল মোনাফ এর ছেলে মো. আলমগীর এর সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় উক্ত তরুণীর। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিয়ের অনুষ্ঠানে বরকে চিংড়ি মাছ না দেওয়ায় বর ক্ষীপ্ত হয়ে টেবিল উল্টে দেয় এবং ভাঙচুর করে। এই সময় কনে পক্ষের লোক শান্ত হতে বললে বর আরও খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষে তূমুল কথা কাটাকাটি হয়, বর বিয়ে বিচ্ছেদ করে দেয়। বর ও তার আত্মীয়স্বজন পালিয়ে চলে যেতে চাইলে কনের পক্ষ তাদেরকে আটকিয়ে রাখে।
এই সময় আনোয়ারা থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনে। দুই পক্ষকে নিয়ে পুলিশ সমযোতায় আনতে চাইলে কনের বাবা বরকে মেয়ে তুলে দিতে আপত্তি জানায়। আর দুই পক্ষে মিলামিল হয়নি। পুলিশ তিন চারদিনের মধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার নিয়ে দুই পক্ষকে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করতে বলেন।
এই সময় কনের বাবা আব্দুর রশিদ (ছন্দ নাম) বলেন-সামান্য চিংড়ি মাছের জন্য যে ছেলে বিয়ের আসরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সে ভবিষ্যতে আমার মেয়েকে অত্যাচার করবেনা গ্যারান্টি কী।