ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কাপ্তাই হ্রদের শুটকিতে একদিনে বিএফডিসি’র রেকর্ড রাজস্ব আয়

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
বিগত দুই দশকে প্রথমবারের মতো একদিনে ২৭ লক্ষ টাকার শুটকি এসেছে রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি’র মৎস্য অবতরণ ঘাটে। টনের পরিমানে ৭.৮ মেট্রিকটন শুকনা মাছের বিপরীতে ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করেছে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।

সংস্থাটির রাঙামাটির ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কমান্ডার মোঃ আসাদুজ্জামান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, একদিনে এতো পরিমান শুটকি মাছ এরআগে বিএফডিসি’র ঘাটে কখনোই আসেনি। আর এতোটা রাজস্বও আয় করেনি বিএফডিসি। তিনি জানান, জেলার কাট্টলী-মাইনী-লংগদু-বাঘাইছড়ি থেকে কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছকে শুটকি বানিয়ে সেগুলো সরকারীভাবে রাজস্ব প্রদান করে শুটকি ব্যবসায়িগণ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেগুলো বিপনন করে থাকে। বিগত সময়ে শুটকি ব্যবসায়িরা এতোটা বিশাল পরিমান শুটকি রাঙামাটি থেকে কখনো নিয়ে গেছে এই ধরনের তথ্য কারো কাছেই নেই। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন নিঃসন্দেহে বেড়েছে এবং সেটা বিগত বছরগুলোর ন্যায় অনেকটাই বেশি। তাই ব্যবসায়িরা তাদের কাঙ্খিত মাছ আহরণ/সংগ্রহ করে চাহিদানুসারে শুটকি তৈরি করতে পেরেছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য আহরণ পরবর্তী বিপনন কাজের সাথে জড়িত ব্যবসায়িদের মধ্যে তিনটি স্তর রয়েছে। তাদের একটি বিরাট অংশ হলো হ্রদে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কেচকি ও চাপিলা মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত। অপরটি হ্রদের বড় বড় কার্প জাতীয় মাছের ব্যবসায় জড়িত।

.

স্থানীয় ব্যবসায়িদের আরেকটি অংশ শুটকি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছের মধ্যে শুটকি মাছ তৈরিতে অন্যতম স্থান হলো লংগদু’র কাট্টলী এলাকায়। এখানে বছরে কয়েক কোটি টাকার শুটকি উৎপাদিত হয় বলে জানাগেছে। কোনো প্রকার কেমিক্যালের সংমিশ্রণ ছাড়াই কাট্টলীতে তৈরি হয় শুটকি মাছ। নির্দিষ্ট্য সাইজের মাছ সংগ্রহ করে সেগুলোকে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে রোদ্রে শুকিয়ে এই শুকটি মাছ তৈরি করে সেখানকার ব্যবসায়িরা।

শুটকি ব্যবসায়ি রবিন, আলমগীরসহ আরো কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ি জানিয়েছেন, কেচকি-চাপিলাসহ কার্প জাতীয় মাছের জন্য স্থানীয় জেলেদেরকে যেমনিভাবে দাদন দেয় ব্যবসায়িরা ঠিক সেরকমভাবেই তারাও দাদন দিয়ে শুকটির জন্য নির্দিষ্ট্য মাছ সংগ্রহ করেন তারা। তারপর সেগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে প্রাকৃতিকভাবে শুটকি বানিয়ে সরকারী রাজস্ব দিয়ে সেগুলোকে বৈধ পন্থায় জেলার বাইরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপনন করা হয়। এতে করে তাদের লাভের পরিমাণটাও তেমন একটা খারাপ হয়না বলেও জানিয়েছেন শুটকি ব্যবসায়িরা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print