ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে-জিওসি এস এম মতিউর রহমান

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেছেন, ১৯৭৬ সাল থেকে শিক্ষাসহ মানুষের আর্তসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী। সুশিক্ষার বিস্তার না হলে ভাল মন্দের পার্থক্য করা যায়না। অশিক্ষিতরা বিবেকহীন বলে মন্তব্য করেন জিওসি মতিউর রহমান।

সোমবার দুপুরে তিনি বহুল প্রতিক্ষীত ফটিকছড়ির বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জিওসি বলেন, দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা উন্নয়নমীল দেশে পদার্পন করেছি। দেশের উন্নতির ধারা দ্রুততার সাথে বাড়ার কারণে অনেক দেশ বাংলাদেশকে হিংসা করছে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কিছু লোক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছে। তিনি বলেন, সম্প্রীতি ঠিক থাকলে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। পাহাড়ি বাংগালি ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মিলে মিশে থাকার আহবান জানান তিনি।

মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেন, সরকার ১৯৯৬ সালে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে শান্তিচুক্তি করেছিলেন। শান্তি চুক্তির পর পরই একটি পক্ষ পাহাড়ে স্বশস্ত্র কার্যক্রম করছে। পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্ছারন করেন। তিনি বলেন এ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার ফলে সম্প্রীতির নতুন অধ্যায় রচিত হবে।

পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে ফটিকছড়ির বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ফলে ফটিকছড়ি ও লক্ষিছড়ি উপজেলার অনগ্রসর দুর্ঘম ১৫টি গ্রামের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম, লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মিজানুর রহমান মিজান, লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আ: জব্বার, লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর জান্নাতুল ফেরদৌস, কাঞ্চননগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী কাতেব।

বহুল প্রতিক্ষিত এ স্কুলটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ফটিকছড়ি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা, যুগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মারমা, দুল্যাতলী ইউপি চেয়ারম্যান ত্রিলন চাকমা, বর্মাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হরিমোহন চাকমা, সাংবাদিক আবু মুছা জীবন,বিশ্বজিৎ রাহা, মোবারক হোসেন, সমাজ সেবক আবুল হাসেম চৌধুরী, আ: মাজেদ গাজি, আলি মিয়া।

২৪ পদাতিক ডিভিশনের চট্টগ্রাাম এরিয়া কমান্ডার এসময় বিদ্যালয়ের জায়গাটি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এমন একটি মহত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

.

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে। শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে লক্ষ্মীছড়ি ও ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী বাইন্যাছোলা, ডিপি পাড়া, সমুড় পাড়া, সাওতাল পাড়া, মহিষকাটা, দন্ডি পাড়া, হলুধ্যা পাড়া এবং ফটিকছড়ির মানিকপুর, টিলা পাড়া, সাতগড়িয়া পাড়া, নাপিত পাড়া, ফেদুরপাড়া ও বানতি পাড়াসহ এলাকায় অন্তত ১৫টি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ১০ কি: মি: দুরে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া করতে হয়। ফলে শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পড়ার হার অনেক বেশি। বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হওয়ার ফলে শত শত উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলি মিয়া বলেন, যুগ যুগ ধরে এখানে একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা দাবি করে আসছিলাম। এটা আমাদের জন্য একটা স্বপ্ন ছিল যা আজকে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন হল।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print