
জেলার সন্দ্বীপের মগধারা ইউনিয়নে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনার পর উপজেরা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদ সরওয়ার প্রকাশ শিমুল মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তিতে তাঁর বাড়ী থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি কার্তুজ দা, ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
গুলি বিনিময়কালে সন্দ্বীপ থানার ওসি মো. শাহজাহানসহ ৫ পুলিশ আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবী করেছেন।
সীতাকুণ্ড সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সম্পা রানী সাহা পাঠক ডট নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-দেশীয় তৈরী ১টি দোনলা বন্দুক, প্লাস্টিকের বাটযুক্ত দেশীয় তৈরী একটি ১টি নলা বন্দুক, লোহার বাটওয়ালা দেশীয় তৈরী ১টি এক নলা বন্দুক, দেশীয় তৈরী এলজি ২টি (কাঠের বাট), ১৯ রাউন্ড কার্তুজ, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি রামদা, ৮টি ছুরি, ১টি টর্চ লাইট।
গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী শিমুল সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার ও উপজেরা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে বর্তামান সংসদ মিতার অনুসারী বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে সন্দ্বীপ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সন্দ্বীপ থানার সেকেন্ড অফিসার সোলাইমান পাটোয়ারী জানিয়েছেন।
সন্দ্বীপ থানার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে আজ দুপুর একটার দেড়টার দিকে থানার একটি পুলিশ দল মগধারা ইউনিয়নের সন্ত্রাসী শিমুল মেম্বারের বাড়ীতে অভিযান চালায় তাকে গ্রেফতারের উদ্দ্যেশে। পুলিশে উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী শিমুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় একঘন্টা ধরে গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পিছু হঠে পালিয়ে গেলে পুলিশ শিমুলের বাড়ীতে অভিযান শুরু করে। এসময় বেলা আড়াইটার দিকে বাড়ীর ভেতরে লুকিয়ে থাকাবস্থায় শিমুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সন্দ্বীপ থানার ওসি মো. শাহজাহান জানান, সন্ত্রাসীদের সাথে গুলি বিনিময়কালে পুলিশের পক্ষ থেকে ২৩ র াউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। এর মধ্যে কনেন্টেবল রবিউল আলম ১৩ রাউন্ড, নাঈম মিয়া ১০ রাউন্ড গুলি চালায়।
ওসি জানান সন্ত্রাসীদের ছুঁড়া গুলির স্প্রীন্টারের টুকরো তার পেটের ডান পাশে বিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া পরিদর্শক সরওয়ার্দী, এসআই হেলাল খান, কনেস্টেবল রবিউল আলম ও নাঈম মিয়া আহত হয়েছেন।