ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রাম ওয়াসার সুয়্যারেজ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দীর্ঘ নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার বহুল প্রতীক্ষিত সুয়্যারেজ প্রকল্পটি একনেকে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যানের প্রণেতা, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। পাঁচ বছর মেয়াদ কালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে তিন হাজার আট শত আট কোটি আটান্ন লাখ টাকা।

ওয়াসা সুত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সুপেয় পানি বিক্রয় ও বিপননের দায়িত্বে রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ১৯৬৩ সালে ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি নামে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রতিষ্ঠার পর কোন রকমে সুপেয় পানি সরবরাহ করলেও স্যুয়ারেজ নিয়ে কোন চিন্তাই করেননি। ২০০৯ সালে বতর্মান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই এই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করে সরকারের সবোচ্চ মহলের সাথে দেনদরবার শুরু করে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়।

চট্টগ্রাম ওয়াসা এতোদিন পানি দিতেই হিমশিম খেতে হতো, স্যুয়ারেজ নিয়ে কোন পরিকল্পনাও ছিলনা জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন,‘ আগে সুয়ারেজ নিয়ে কেউ চিন্তা করেন নি। আমি সুয়ারেজ মাষ্টারপ্ল্যাণ তৈরী করেছি। সেই প্ল্যান ব্যবহার করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

জানতে চাইলে প্রকল্প প্রণয়ণে সম্পৃক্ত ওয়াসার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সুয়্যারেজ প্রকল্পটি আগামী ৫ বছরে ( জুন ২০২৩) মধ্যেই সম্পন্ন হবে। প্রকল্পের অধীনে নগরীতে ২০০ কিমি পাইপ লাইন বসানো হবে। এছাড়া ও ১৪৪ কিমি সার্ভিস লাইন বসানো হবে। এই সব পাইপের মাধ্যমে নগরবাসীর বাসাবাড়ীর ব্যবহার করা পানি ও পয়বজ্য হালি শহরে নির্মিত দুইটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অতি সত্বর প্রকল্পের কারিগরি পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে। পরবর্তীতে ডিজাইন করা হবে। এর পরেই টিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, সুয়্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ণে আগামীতে আর কোন প্রতিবদ্ধকতা নেই।

পৃথিবীর সব দেশেই সুয়্যারেজ লাইন আছে। শুধু আমাদের চট্টগ্রামেই এতোটি দিন কোন সুয়্যারেজ সিস্টেম ছিলনা। সেই কথা চিন্তা করেই চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য সুয়ারেজ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। চট্টগ্রামের পরিবেশ উন্নয়নের সাথে সাথে এখানকার প্রধান দুইটি নদী কণফুলী এবং হালদাকে দুষনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সুয়্যারেজ প্রকল্পটি খুবই দরকার ছিলো। নদীগুলো দুষন হয়ে গেলে ভবিষ্যতে নগরীতে সুপেয় পানি সরবরাহ করা দুষকর হয়ে পড়বে।

এর আগেও কনফুলী নদীকে দুষনের হাত থেকে বাচাঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরীতে সুয়্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ণে তাগিদ দিয়েছিলেন। নগরীর বোট ক্লাবে ওয়াসার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চট্টগ্রামে সুয়্যারেজ সিস্টেম প্রয়োজন। আপনারা (ওয়াসা) প্রকল্প নিয়ে আসেন, আমি অনুমোদন দেব।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়সার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন,“বুধবার একনেকে প্রধানমন্ত্রী এতোদিন চট্টগ্রামে সুয়্যারেজ সিস্টেম না হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রকল্পটি এতো দিন কেন হয়নি, আরো আগে এটি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন ছিলো।

বুধবার চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য বিশেষ একটি দিন। এই প্রকল্প একনেকে পাস করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print