ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

র‌্যাব কর্মকর্তা জুলফিকারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

RAB-7-620x330
চাকুরীচূত্য র‌্যাব-৭ এর তৎকালিন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী।

চট্টগ্রামের আনোয়ারাস্থ তালসরা দরবার শরীফে দুই কোটির বেশি টাকা লুটের অভিযোগে হওয়া মামলা বাতিল চেয়ে র‌্যাব-৭ এর সাবেক কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বরখাস্তকৃত) শেখ মাহমুদুল হাসান এর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৭ আগস্ট) এই আদেশ দেন।

ফলে মামলার র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী সাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবীরা।

আদালতে দরবার শরীফের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ এনাম। আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এম এ মান্নান মোহন।

পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার এনাম সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় সাত আসামির মধ্যে র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী আগে মামলা বাতিলের আবেদন করেছিলেন। ২০১৫ বছর ১১ মার্চ সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। এবার শেখ মাহমুদুল হাসানের আবেদন খারিজ হওয়ায় সাত আসামির বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই।

RAB-news
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত তালসরা দরবার শরীফ।

এই ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে নাম থাকা ৭ আসামি হলেন, র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শেখ মাহমুদুল হাসান, সুবেদার আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু এবং র‌্যাবের সোর্স দিদারুল আলম, আনেয়ার মিয়া ও মানত বড়ুয়া। র‌্যাবের কর্মকর্তারা বরখাস্ত আছেন। একইসঙ্গে আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর তালসরা দরবার শরিফে র‌্যাব সদস্যরা গিয়ে তল্লাশি করে। এই ঘটনায় ২০১২ সালের ১৩ মার্চ র‌্যাবসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের অভিযোগে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় লুটের মামলা করা হয়। মামলাটি করেন দরবারের পীরের গাড়ি চালক ইদ্রিস আলী।

এ ঘটনা পরে জানাজানি হলে র‌্যাব সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা লুটের ঘটনায় র‌্যাব সদস্যদের যুক্ত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ আসার পর তাদের স্ব স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এবং ২০১২ সালের ৪ মে রাজধানীর মগবাজার থেকে র‌্যাব-৭ এর সাবেক পরিচালক ও চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল জুলফিকার আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হলেও ২০১২ সালের ২৫ জুলাই সাতজনের নামে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার আগেই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।

সেই রুলের শুনানি চলাকালে আজ বরখাস্তকৃত র‌্যাব কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান হাইকোর্টে এই মামলা না চালানোর কথা জানান। তাই আদালত রুল ভ্যাকেন্ট করে মামলা বাতিল চেয়ে তার করা আবেদন খারিজ করে দেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print