কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিম উল্লাহর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল কান্না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা পূর্ব সমাবেশে জিএম রহিম উল্লাহর পক্ষে উপস্থিত মুসল্লিদের কাছে দোয়া ও ক্ষমা চান তিনি। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন এমপি কমল।
এসময় তিনি জামায়াতের এই নেতার নামে সড়কের নামকরণ ও পরিবারের নামে জমি বরাদ্দ করে দেয়ার ঘোষণা দেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের বর্তমান এই এমপি।
কক্সবাজার সদর উপর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিম উল্লাহ মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সাগরগাঁওতে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল জিএম রহিম উল্লাহর।
এমপি কমল বলেন, রহিম উল্লাহ ভাই বড়মাপের রাজনৈতিক নেতা। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমার সঙ্গে রহিম উল্লাহ ভাইয়ের কোনোদিন কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয়নি। বরং সমন্বয় করে কাজ করতাম। তার প্রশাসনিকভাবে কোনো কিছু করার প্রয়োজন হলে আমাকে দিয়ে ফোন করাতেন। আমিও তার কোনো প্রকল্প আটকে রাখতাম না। আজ পবিত্র দিনে আমরা প্রিয় মানুষটিকে হারিয়েছি। উনি কোনো ভুল করে থাকলে আপনারা ক্ষমা করবেন। ওনার জন্য দোয়া করবেন সবাই।
তিনি বলেন, তার জানাজার মাঠে আপনাদের কথা দিলাম- রহিম উল্লাহ ভাইয়ের পরিবারের জন্য একটি জায়গার ব্যবস্থা করে দেব। তার নামে একটি সড়কের নামকরণেরও ব্যবস্থা করব।
কমলের এ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য কমল এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, ব্যক্তি কমল যে কাউকে সহযোগিতা করতে পারেন। তবে কোনো ব্যক্তির নামে সড়কের নামকরণে ক্ষমতা রাখেন না তিনি।
তার ঘোষণাটি নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করেন ফরিদুল আলম।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজিবুল ইসলাম বলেন, মুসলমান হিসেবে যে কারো জানাজায় তিনি যেতে পারেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের একজন এমপি হিসেবে এই ঘোষণা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা ছাড়া আর কিছুই না। -সুত্র: যুগান্তর
