একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করতে, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্ত করার জন্য ঐক্যফ্রন্টের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এখনও বেআইনিভাবে গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকি প্রার্থী হয়েছেন যারা আগে এমপি ছিলেন তাদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার তা কোনো মতেই হবে না। এ জন্য আমরা দাবি করেছি যে, অবিলম্বে এ গ্রেফতার বন্ধ করা হোক। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দেয়া হোক, মামলা প্রত্যাহার করা হোক। তা না হলে এ নির্বাচন জনগণের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা বারবার বলেছি, প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি, উনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনকেও বলেছি, অথচ গ্রেফতার বন্ধ হচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের দিন ভোটে বাধা দিলে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সেজন্য জনগণকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার বিনীত নিবেদন আপনারা কষ্ট করে নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। পাড়া প্রতিবেশী সকলকে নিয়ে ভোট দিতে যাবেন। বুথ খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা সেখানে উপস্থিত হবেন। পরিবারকে নিয়ে ভোট দেবেন। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন।
নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও হয়নি দাবি করে ড. কামাল হোসেন বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
এসময় দলীয় আনুগত্য ও ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি। ড. কামাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ।
