t নারীঘটিত ঘটনায় খুন হয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব! – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নারীঘটিত ঘটনায় খুন হয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নারীঘটিত বিরোধে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন হামজাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সজীব ও জসিম নামে দু’জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা আলতাফ হোসেন। তবে জড়িত কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি।

এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইলের টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে রাকিব ও তার বন্ধু নূর ইসলামকে উপর্যুপরি কোপায় সজীব ও জসিম এবং অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। নূর ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত রাকিব ঢাকা উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি এবং তিতুমীর কলেজে এমবিএর শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি কড়াইলের মোশাররফ বস্তির বাসিন্দা সজীবকে তালাক দেন তার স্ত্রী মিম। তবে মিমকে ফেরাতে নানাভাবে চেষ্টা করেন সজীব। মিম তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এতে সজীবের মধ্যে ধারণা জন্মায় যে রাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই মিম তাকে তালাক দিয়েছেন এবং ফিরে আসছেন না। এতে রাকিবের ওপর সজীবের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এর জেরে সজীব সহযোগীদের নিয়ে রাকিবকে হত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।

রাকিবের বাবা আলতাফ হোসেন টিঅ্যান্ডটির লাইনম্যান। কড়াইল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বস্তিতে তারা থাকেন। গ্রামের বাড়ি বরিশালের বিমানবন্দর থানার চন্দ্রপাড়ায়। শনিবার রাকিবের জন্মদিন। জন্মদিন পালনের জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকে রাকিব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অনেক কেনাকাটাও করেছিলেন। জন্মদিন আর পালন করা হলো না তার।

শুক্রবার সরেজমিন জানা যায়, কড়াইলের টিঅ্যান্ডটি কলোনির পাশে আনসার ক্যাম্প মাঠে বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলেন রাকিব। সেখান থেকে বন্ধু নূর ইসলামকে নিয়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। বাসায় ঢোকার আগেই আনুমানিক একশ’ গজ দূরে ফাঁকাস্থানে তাদের কুপিয়ে ফেলে রাখে অভিযুক্তরা। বৈদ্যুতিক পিলারের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় তারা পড়েছিলেন।

এই এলাকার পরিচ্ছন্ন কর্মী প্রত্যক্ষদর্শী সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে ড্রেন পরিস্কার করছিলেন। নূর ইসলামের চিৎকারে তিনি ছুটে আসেন। রাকিব কথা বলতে পারছিলেন না, শুধু গোঙাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে রাকিবের বোনসহ স্বজনরা ছুটে আসেন। রাকিব ও নূর ইসলামকে কারা কুপিয়েছে, তা তিনি দেখেননি বলে জানান।

নূর ইসলাম হাসপাতালের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার বাঁ গালে ও কোমরে কোপানো হয়েছে।

তিনি পুলিশকে জানান, সজীবসহ ছয়-সাতজন তাদের কোপায়। কোপানোর সময় জসিম নামে একজনের নাম ধরে ডাকা হয়। তবে তিনি জসিমকে চেনেন না।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আবু তাহের ভূঁইয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে মিমের সঙ্গে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৫ সালে সজীবের সঙ্গে মিমের বিয়ে হয়ে যায়। এরপরও সজীব-রাকিবের মধ্যে কথাবার্তা চলত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। দাম্পত্য কলহ নিয়ে মিম থানায় জিডিও করেছেন। গত জুনে মিম সজীবকে তালাক দেন। পরে মিমকে নিয়ে আবার নতুন করে সংসার করার চেষ্টাও করেন সজীব। তবে মিম রাজি হননি। সজীব ধারণা করে, রাকিবের কারণেই তাকে তালাক দিয়েছেন মিম। এতে সজীব ক্ষুব্ধ হন রাকিবের ওপর। এ কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা এই পুলিশ কর্মকর্তার।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাকিবের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে কড়াইলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিকেলে বরিশালের উদ্দেশে লাশ নিয়ে রওনা হন স্বজনরা।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print