
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাসায় খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের স্ত্রীর বড় ভাই। নিহতের নাম তোফায়েল আহমেদ রফিক (৫৬)। তিনি গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বারেক মিঞার বাড়ির মৃত বারেক মিঞার প্রথম পুত্র।
আজ শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনা ঘটে।
বন্দর থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, ফকিরহাট এলাকার বারেক মিয়া স্কুলের গলিতে একটি ভবনের ফ্ল্যাটে থাকতেন নিহত তোফায়েল আহমদ। ওই ফ্ল্যাটে তার দেখাশুনা করতেন ৩-৪ জন গৃহকর্মী। মাসখানেক আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন উপজাতিকে তিনি কাজের জন্য নিয়ে আসেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহকর্মী পলাতক রয়েছেন। ওই গৃহকর্মীর হাতে তিনি খুন হয়েছে বলে ধারণা করছি আমরা। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ওসি বলেন, কাজের ছেলের (২২) নাম-ঠিকানা কিছুই পরিবারের সদস্যরা জানেন না। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সংগ্রহ করে ২০-২৫ দিন আগে তাকে বাসায় কাজ দেওয়া হয়েছিল। বাসা থেকে মালামাল খোয়া গেছে কি-না সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) আরেফিন জুয়েল বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাতের পর রফিকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর বাসার ‘কাজের ছেলে পালাতক রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, তোফায়েল আহমেদ রফিকের চার মেয়ে ও দুই ছেলে। তার স্ত্রী মারা গেছেন। চার মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। তবে দুই ছেলে এখনও অবিবাহিত। চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় রফিক একা থাকতেন। ছেলেরা থাকতেন ওপরের তলায়।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ছেলেরা দোতলায় বাবার কক্ষ বন্ধ দেখে দরজায় আঘাত করেন। বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে উঠে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখতে পান। পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত রফিকের ভগ্নিপতি এম এ লতিফ চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।
ঘটনাস্থল থেকে নিহত রফিকের প্রতিবেশী ফয়সাল জানান, বিকাল ৫ টার দিকে অামরা জানতে পারি রফিক চাচা খুন হয়েছে। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার মুখ গামছা দিয়ে বাধা ও তার মাথা থেকে রক্ত ঝড়ছে। এসময় একটি রক্তাক্ত ইটও দেখতি পাই অামরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রফিককে হত্যার পর ঘাতকরা বাসার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ও বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।