
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুদীর্ঘকালের রাজনৈতিক জীবন থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তাঁর কাছে শেখার অনেক বিষয় আছে। তিনি ৭৫‘র পরবর্তী আওয়ামী পরিবারের দুঃসময়ে শুধু চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামে দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে হলে তাঁর রাজনৈতিক শিক্ষা-দীক্ষার ইতিবাচক দিকগুলোকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রত্যয়ী করতে হবে।
তিনি আজ বিকেলে প্রয়াত জননেতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জি.ই.সি কনভেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় একথাগুলো বলেছেন।
মেয়র নাছির আরো বলেন,মহিউদ্দিন চৌধুরী আমৃত্যু অসত্য,অন্যায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি তৃণমূল স্তর থেকে গণ মানুষের ভালবাসা আদায় করে দেশ-জাতি ও দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই আমরা যদি চট্টগ্রাম-৯ আসন সহ ৩টি এবং নগর সংশ্লিষ্ট আরো তিনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারলে তাঁর স্ব্প্ন সাধনা এবং জনকল্যাণমুখী রাজনীতির প্রতি তাঁর যে আকর্ষণ ও ভালবাসা ছিল তাঁকে আমরা চিরদিন আমাদের অন্তরে ধারণ করতে পারব।

স্বরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন- মহিউদ্দিন চৌধুরী এমনিই একজন রাজনীতিক যিনি জীবনে কখনো কোনো পরাভব মানেন নি। জনস্বার্থে যখন যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন তা গ্রহণ করে গণ মানুষের হৃদয় জয় করে গেছেন।
সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ আফছারুল আমীন বলেন, মহিউদ্দিন ভাই আদর্শ ও নৈতিকতার প্রশ্নে ঝুঁকি নিতে জানতেন। দুঃসময়ে কখনো তিনি নিজেকে আড়াল করে রাখেন নি। এ সাহসীব্রত মানুষটি সবসময় রাজপথে থেকে রাজনৈতিক লক্ষ পূরণে আমাদেরকে প্রাণিত করে গেছেন।
১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপি বলেছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর মত আরেকজন নেতা জন্মগ্রহণ করবেন না। আন্দোলন লড়াই সংগ্রামে তিনি সার্বক্ষণিকভাবে কর্মীদের সাথে নিয়ে পুরোভাগে থাকতেন। যেকোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি কখনো ব্যর্থ হননি। তাই তিনি বাংলাদেশের যে কোন ক্রান্তিকালে সফলতার ধ্যুতি ছড়িয়েছেন।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আমার প্রয়াত পিতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতা হিসেবে নই, একজন কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশ দায়িত্বের সাথে পালন করেছেন। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে উপলদ্ধি করেছি চট্টগ্রামের বাইরেও তাঁর প্রচুর অনুসারী আছে, তারা আমার প্রয়াত পিতার রাজনৈতিক জীবন থেকে পাঠ গ্রহণ করে দল ও জাতির জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি অর্জন করে। তাই তাঁর সন্তান হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুিষ্ঠত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, মহিলা সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খান. ১৪ দল নেতা এড. আবু হানিফ, উপদেষ্টা শফর আলী, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, কাউন্সিলর প্রমুখ।