
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আমার গ্রাম আমার শহর আর ‘তারুণ্যে শক্তি তারুণ্যে সমৃদ্ধি’ এই দুই স্লোগানকে সামনে রেখে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিনি ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন। সব মিলিয়ে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
ঘোষণায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবো। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেব। আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা/উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’
শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সুপেয় পানি এবং উন্নতমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সুস্থ বিনোদন এবং খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।’
এছাড়া কর্মসংস্থানের জন্য জেলা/উপজেলা কলকারখানা গড়ে তোলা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তার দলের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী আগামী ৫ বছরে ইন্টারনেট বা তথ্য প্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম শক্তি হচ্ছে যুবশক্তি। দেশের এই যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রুপান্তরের লক্ষ্য অর্জনে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এই শ্লোগান বাস্তবায়নে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী পর্যায় ক্রমে উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে আগামী ৫ বছরে এক কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতি উপজেলা থেকে প্রতিবছর গড়ে এক হাজার যুব/যুব মহিলার জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় জীবনে সব স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর বলেও জানান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্টজনসহ বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত রয়েছেন।