ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লোহাগাড়ায় ধানের শীষের মিছিলে পুলিশের গুলি, মাইক ভাঙচুর

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

লোহাগাড়ায় ধানের শীষের প্রচার মিছিলে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকেল চারটার দিকে পুটিবিলা ইউনিয়নের গোড়স্থান এলাকায় ধানের শীষের সমর্থকরা মিছিল বের করলে হঠাৎ একদল পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক ভেঙে দেয়।

মিছিলকারিরা আশপাশের পাহাড়ে ও বিভিন্ন ঘরবাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় সিএনজি চালককে প্রথমে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গ্রামের সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর কাছে ফোন করতে থাকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ পেয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট জাফর সাদেক। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত রোববার বিকাল ৫ টায় সাতকানিয়ার গারাঙ্গিয়া মাদ্রাসার পশ্চিম পাশে মাইকিং করাকালে ডাকাত বশির বাহিনীর প্রধান নেজাম চেয়ারম্যানের নির্দেশে খোকনের নেতৃত্বে ধানের শীষের কর্মী লুৎফর রহমান, সোহেল ও মো: মামুন নামের ৩ জনকে কিডন্যাপ করে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর উপর্যুপরি আঘাত করে মারাত্মক জখম করে এবং মাইক, ব্যাটারী ও মেশিন লুট করে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় ঐ কর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে মারাত্মক আহত ধানের শীষের কর্মীদের থানায় নিয়ে যায়।

একই উপজেলার চরতী ইউনিয়নের দক্ষিণ তুলাতলী এলাকায় নৌকা প্রার্থীর শ্যালক রুহুল্লাহ’র নির্দেশে বজলের নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষের মাইকিংয়ের গাড়ীর উপর হামলা করে ড্রাইভারসহ ৬ জনকে গুরুতর জখম করে। আহতরা হলেন- সেলিম ড্রাইভার, তারেক, ফরহাদ, মহিউদ্দীন, সরওয়ার ও ফররুখ। হামলাকারীরা গাড়ী ও মাইক ভাংচুর করে মাইকের মেশিন ও ব্যাটারী ছুঁড়ে ফেলে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার করানোর উদ্দেশ্যে পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু পুলিশ আসার পূর্বেই জনগণ সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

অন্যদিকে, রাত ৮ টার দিকে সাতকানিয়া এওচিয়া ইউনিয়নের চূড়ামণি ২নং ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে আবদুর রহিমের পুত্র জসিমের নেতৃত্বে ধানের শীষের কর্মী দেলাওয়ারের উপর হামলা চালায়। এতে মারাত্মক আহত হয়। পরে সন্ত্রাসী গং আহত ধানের শীষের কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা কোম্পানির নেতৃত্বে পূর্ব উকিলের পাড়া এলাকায় ধানের শীষের মাইকিংয়ে হামলা করে কর্মীদের মারধর করে। পরে সন্ত্রাসী দলকে ডেকে এনে গাড়ী ও মাইক ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।

কলাউজানের আদারচর কেন্দ্রে ওয়াহেদ চেয়ারম্যান ও মিয়াজীপাড়া কেন্দ্রে মুজিবুর রহমান দুলু’র নেতৃত্বে যারা নির্বাচনে এজেন্ট থাকবে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এলাকায় আতংক ছড়াচ্ছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বাবুল প্রকাশ্যে স্টাইকিং ফোর্স গঠন করে সব ভোট নৌকায় নিয়ে নেয়ার হুমকি দিলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা না।

তিনি গ্রেফতারকৃত সকল কর্মী সমর্থককে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আর প্রচারণায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print