ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

খুন হওয়ার ৬ বছর পর সিলেটে ককটেল মেরেছে ছাত্রদল নেতা!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

২০১৮ সালে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০১২ সালে খুন হওয়া এক ছাত্রদল নেতাকে। এমনটাই ঘটেছে সিলেটের কোতোয়ালি থানায়। অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন এবং ১২০ আসামির নাম উল্লেখসহ দায়ের করা মামলাটির ২৭ নম্বরে রয়েছে নিহত সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকতের নাম।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানাধীন কানিশাইল খেয়াঘাটের সামনে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণায় হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এজাহারে মামলার বাদী নগরীর নাইওরপুর মৌবন ১২/১ বাসার বাসিন্দা মো. ফাহিম আহমদ হামীমের অভিযোগ, রাত ৯টায় খেয়াঘাটের সামনে রিকশায় করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বাদী। এসময় আসামিরা পথরোধ করে রিকশা থেকে প্রচার মাইক খুলে নেন। বাধা দিলে তাকে গালিগালাজ, মারধরসহ হুমকি দেন এবং তার চারপাশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে কোতোয়ালি থানার টহল পুলিশ এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাল স্কচটেপ মোড়ানো দু’টি ককটেল উদ্ধার করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন ফাহিম।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত ২০১২ সালের ২২ মার্চ খুন হন। অভিযোগ আছে- দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নগরের উপশহরে খুন করা হয় শওকতকে। আর তাকেই রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় (নং-৩১ (১২) ১৮) আসামি করা হয়।

শওকত ছাড়াও ওই মামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হুসাইনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে আছেন চার কাউন্সিলর, তিন আইনজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

তাছাড়াও মামলায় আবুল কাহের শামীম ও বিএনপিপন্থি কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনীম, আজমল বখত সাদেক, তৌফিকুল হাদীর নাম দুইবার উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন শামীম ও হুমায়ন কবীর শাহীন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, ১ নম্বর ওয়াড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদি, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লরি রহমান উজ্জ্বল, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম নাচন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন।

নিহত ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকতকে আসামি করা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা এটাকে গায়েবি মামলা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এধরনের আরো অনেক মামলা হয়েছে। এগুলো নতুন কিছু নয়।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘মামলাটি পাবলিক বাদী হয়ে করেছেন। আর দীর্ঘ এজাহার খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।

সূত্র- বাংলানিউজ

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print