
চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল করেছেন, বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক নিয়ে বিএনপি নেতারা নোংরা রাজনীতি করছে তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক্ষেত্রে শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মতবিনিময় সভায় নওফেল বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা আসবেন, কথা বলবেন, মতামত চাইবেন, মতামত দেব আমরা। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা সাদা চামড়ার মানুষকে নিয়ে এসে মনগড়া বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার যে নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, আমরা এই বিকৃত মানসিকতার প্রতিবাদ করছি।’
নওফেল আরো বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুজন এক্সপার্ট, কানাডীয় হাই কমিশনার, ব্রিটিশ হাই কমিশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমার কাছেও এসেছিলেন। আমি কথা বলেছি। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গেও তারা আলোচনা করেছেন। কিন্তু আলোচনা শেষে তিনি গণমাধ্যমের কাছে কিছু মিথ্যা, ভিত্তিহীন বক্তব্য তুলে ধরে জল ঘোলা করার চেষ্টা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ব্যক্তিরা বলেছিলেন, তাদের সাথে যে আলোচনা হয়েছে, সেটা নিয়ে গণমাধ্যমে আমরা যেন কোন ব্রিফিং না দিই। কিন্তু আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাদের কথার মূল্যায়ন করেননি, শিষ্টাচার যেটা দেখানোর কথা সেটাও তিনি করেননি, শুধুমাত্র রাজনীতিকরণ করবার জন্য মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন।’
বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গ টেনে নওফেল বলেন, বিদেশিরা বরং জানতে চেয়েছেন, জামায়াত ইসলামী যেটা আন্তর্জাতিকভাবে এখন সন্ত্রাসী সংগঠন, তাদের রোলটা বিএনপি জোটে কি হবে? এই গোষ্ঠীর বিষয়ে আমাদের মতামত কি এবং সহিংসতার আশঙ্কা আমরা করছি কি-না তা জানতে চেয়েছেন।
‘আমি পরিষ্কার করে তাদের বলেছি, বিএনপি এবং জামায়াত একীভূত হয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। তারা এর আগে মানুষ পুড়িয়েছে, মানুষ খুন করেছে, জনজীবনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, সরকারি এবং মানুষের সম্পত্তি বিনষ্ট করেছে। বিদেশিদের কাছেও আশঙ্কা আছে যে, জামায়াত ইসলামীর মতো সন্ত্রাসী সংগঠন এসব কাজ করবে। শুধুমাত্র বিদেশিদের এই মনোভাবকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করেছেন।’
সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম শহরে প্রচারণা চালাতে গিয়ে তেমন কোন সংঘাত হয়নি। দুয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিএনপির প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালাতে পারেনি, এমন নয়। চট্টগ্রাম শহরে পত্রিকা-টিভি খুললেই তো প্রার্থীদের প্রচারণা চোখে পড়ে। আসলে তারা মানুষের সাড়া না পেয়ে এবং পরাজয় নিশ্চিত জেনেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং ও হালিশহর) আসনের ডা. আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও নগরের একাংশ) আসনের দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের মঈনউদ্দিন খান বাদল এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরের একাংশ) আসনের লাঙ্গল প্রতীকের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছিলেন।
এতে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যাবার এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উসিলা খুঁজছে। দেশবাসী এবং সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা বলছি, নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হবে। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন।