চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ আবু সুফিয়ান বলেছেন, বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন ভারত উপমহাদেশের ৪৭ পরবর্তী এক কলংকিত নির্বাচন। বৃটিশ পরবর্তী-ভারত-বাংলাসহ ভারত উপমহাদেশে এমন প্রহসনের নির্বাচন আর কখনো হয়নি। কলংকিত বিজয়ে গৌরবের কিছু নেই।
তিনি আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের সাথে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে সাক্ষাত করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত বায়েজিদ থানা বিএনপি নেতা মো. সোহেল, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি নেতা এনামুল হক মন্টু এবং ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখতে যান। তিনি তাদের চিকিৎসার খোজ খবর নেন। এ সময় তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়ে বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার আওয়ামীলীগসহ সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র লুট করে নিয়েছে। ইতিহাসের জঘন্যতম কারচুপির নির্বাচনে দেশের মানুষ হতবিহবল হয়ে পড়েছে। পুরো দেশ হয়ে উঠে নিঝুম দ্বীপ।
তিনি বলেন, বর্তমান সিইসি কে. এম. নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচনের যে যাত্রা মঞ্চস্থ হয়েছে তথাকথিত বিজয়ী দল নিজেরাই আনন্দ উৎসব করতে লজ্জা পাচ্ছে। নির্বাচনের নামে প্রহসনের নগ্ন চিত্রই ফুটে উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে এটা কোন নির্বাচনই হয়নি। প্রশাসনের সহায়তায় ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। আওয়ামীলীগ প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের রাজনৈতিক দেওলিয়ার প্রমাণ দিয়েছে। তিনি ভোট ডাকাতির এই নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় তফসীল ঘোষণা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানান।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জি. এম আইয়ুব খান, সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সদস্য আবদুর রহিম, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মহানগর যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বায়েজিদ থানা যুবদল নেতা মঞ্জুর আলম মঞ্জু, ওসমান গণি, মো. হাসান, ছাত্রদল নেতা রাশেদ খান টিপু, মো. ইফতি প্রমুখ।
