
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারে ব্যবসায়ীদের গণপিটুনীতে নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পাহাড়তলি রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক কাউন্সিলর সাবের আহমদকে প্রধান আসামী করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে সিএমপির ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের ছোটভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির।
মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ও পাহাড়তলী ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ওসমান খানকেও আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর আজ বিকালে আসামী জাপা নেতা ওসমান খানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
নিহত সোহেল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ (রিপন-রোটন) এর সাবেক উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, সোহেল হত্যার ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। এজাহারে হত্যার সাথে ২৭ জনের নাম উল্লেখ্য করা হলেও আরো অজ্ঞাতনামা দেড়শ জনের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছি। এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি নিছক চাঁদাবাজি তাও আমরা খতিয়ে দেখবো।
উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১১টার দিকে পাহাড়তলী রেলওয়ে কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনী ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবী নিহত মহিউদ্দিন সোহেল এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। তার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী সমাজ অতিষ্ঠ ছিল।
তবে গতকাল পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবী করা হয়, মূলত মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত একটি চক্র মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যা করে গণপিটুনীর কথা প্রচার করেছে।
নিহত সোহেলের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুরে। তাঁর বাবা রেলওয়েতে কর্মরত থাকার সুবাদে তারা সপরিবারে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল।
*পাহাড়তলীতে ব্যবসায়ীদের গণপিটুনীতে চাঁদাবাজ আ’লীগ নেতা নিহত