
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কর্ণফুলি নদীতে বালি বোঝাই ড্রেজার ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মো. নুরুল করিম দুলাল। এ ঘটনার ৩৭ দিনপর এ মামলা নিয়েছে পুলিশ।
১৮ জানুয়ারি শুক্রবার তিনি বাদী হয়ে বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইউছুফকে (৩৫) প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর নুরুল করিমের মালিকানাধীন প্রায় ২০লক্ষ টাকা মূল্যমানের বালি বোঝাই ড্রেজার কর্ণফুলী নদীতে ডুবিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নুরুল করিম দুলাল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক থেকে ড্রেজারে করে বালু এনে বোয়ালখালীর বারাম্ভাঘাট এলাকায় নিয়ে এসে মিনি ট্রাকে করে বিক্রি করেন।
গত বছরের দুই ডিসেম্বর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. ইউছুফ বালুর ব্যবসা না করার জন্য বলে যান। ব্যবসা করলে প্রতিমাসে ১লক্ষ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে শাসিয়ে যান।
চাঁদা না দেয়ায় ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে কর্ণফুলি নদীর বাঁশকল নামক স্থানে তা আটক করে ড্রেজারের মাঝি ও শ্রমিকদের তারা মারধর করে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং ড্রেজারটি পাম্প মেশিন দিয়ে পানি ভর্তি করে নদীতে ডুবিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ড্রেজারটি নদী থেকে তুলতে চাইলে ইউছুফ ফোনে ৩০লক্ষ টাকা চাঁদা চান।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. নুরুল করিম দুলাল বলেন, ড্রেজারটি ডুবিয়ে দেয়ার পর আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করছি। ঘটনার পর ড্রেজারের মাঝির নিয়ে যাওয়া মোবাইল থেকে আসামীরা বিকাশে টাকা চাইলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
এ ঘটনায় থানা ১৭ ডিসেম্বর বাপ্পা দে (৩২) নামের একজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়। ঘটনার সাথে সেও মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা জড়িত রয়েছে বলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করলে ১৮ জানুয়ারী পুলিশ মামলা গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালখালী থানার এসআই পীযুষ চন্দ্র সিংহ বলেন, কর্ণফুলীতে ড্রেজার ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনায় আটককৃত বাপ্পা দে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।