
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর শিশু হালিমা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দেবরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মা খাদিজা বেগমের ওপর প্রতিশোধ নিতেই শিশুটির চাচা হেলাল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ চাচা হেলাল মিয়া ও তার সহযোগী রুবেলকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে ৩ বছরের শিশু হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে একই বাড়ির হালিমার চাচা হেলাল মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে হেলাল জানান, দীর্ঘদিন আগে তিনি হালিমার মা খাদিজা বেগমকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মাস আগে হেলাল তার ভাতিজি হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি কৌশলে হালিমাকে চিপ্স দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে সহযোগী রুবেলের সহায়তায় শিশুটিকে হত্যা করে ২টি বহুতল ভবনের মাঝখানে ফেলে আসেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ ফ্রেব্রুয়ারি শহরের ভাদুঘরে নিখোঁজ হয় হালিমা নামে একটি শিশু। পরে বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে ২টি বহুতল ভবনের মাঝখানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।সে ভাদুঘর এলাকার রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের মেয়ে