ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

এম.আর. সিদ্দিকীর মৃত্যু বার্ষিকীতে সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন সংগঠনের নানা কর্মসূচি পালিত

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিল্পপতি লায়ন মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর (এম আর সিদ্দিকী) আজ ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী।

তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে যিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন, সত্তরের দশকে সীতাকুণ্ডের শিক্ষা ও বেকার সমস্যার সমাধানসহ জনহিতকর কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

এম আর সিদ্দিকী ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ-রহমতনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী। ১৯৪৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৫১ সালে তিনি সরকারি বৃত্তি নিয়ে চাটার্ড-একাউন্টেন্সিতে অধ্যয়ন করতে যুক্তরাজ্যে গমন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট (সিএ) হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হন। এম আর সিদ্দিকী ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আগরতলায় নির্বাসিত মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকাসহ চট্টগ্রামের পাঁচ জেলা নিয়ে গঠিত ইস্টার্নজোন লিবারেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে তিনি পুনরায় জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

এম আর সিদ্দিকী ষাটের দশকের শুরুতে একজন শিল্পোদ্যাক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এস কে এম জুট মিলস, থেরাফিউটিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সিডকো লিমিটেড ও ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড তাঁর অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েকটি ব্যাংকও তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।

সমাজসেবায় তিনি চট্টগ্রামে লায়নিজমের জনক হিসেবে খ্যাত। চট্টগ্রামের তিনি লায়ন্স গভর্নরও ছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় সীতাকুণ্ড এলাকায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর সহযোগিতায় ছোটকুমিরায় লতিফা সিদ্দিকী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

মরহুম জননেতা লায়ন এম আর সিদ্দিকী এফসিএ এর মৃত্যুর বার্ষিকী উপলক্ষে সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং সীতাকুণ্ড ও লিবার্টি নেতৃবৃন্দ কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ করছেন।

আজ ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে মরহুমের সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমত নগর গ্রামে এ কৃতিমান নেতার কবরে ফুলের তোড়া অর্পণ ও বিশেষ জিয়ারত দোয়া মুনাজাত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন, মরহুম লায়ন এম আর সিদ্দিকীর ছোট ভাই আবু জাফর সিদ্দিকী, সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম সাবেক সভাপতি লায়ন গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লায়ন নাছির উদ্দিন মানিক, লায়ন কাজী আলী আকবর জাসেদ, লায়ন আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার কামরুদোজা, অধ্যাপক জানে আলম, লিও আরিফ প্রমূখ।

এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print