t সীতাকুণ্ডে আটক ‍যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও গুলি – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সীতাকুণ্ডে আটক ‍যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও গুলি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

এমপি দিদারুল আলমের সাথে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মাঝে মো. ইদ্রিস ডানে অহিদুল আলম।

জেলার সীতাকুণ্ডে ইয়াবা ব্যবসায়ী এক যুবলীগ নেতাকে আটকের পর পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের সাথে যুবলীগের সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এসময় পুলিশ হামলাকারী যুবলীগ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

পরে পুলিশ ইয়াবা ব্যবসায়ী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম চৌধুরীসহ দুই যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে।

.

পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন যুবলীগ কর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, ‘অহিদুল আলম নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত পু্লিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।’

অহিদুল আলম এর আগেও ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে জানান মশিউদ্দৌলা রেজা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম চৌধুরীকে একটি মাদকের মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। অহিদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইদ্রিসের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

অহিদুলকে আটকের খবর পেয়ে ইদ্রিসের অনুসারী ও কর্মী-সমর্থকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাজারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা অহিদুলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বার আউলিয়া মাজার সংলগ্ন ইদ্রিসের মালিকানাধীন ফার্মেসিতে এনে রাখে।

এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ বার আউলিয়া মাজারের আশপাশে অবস্থান নেয়। পুলিশ ইদ্রিসের দোকানে প্রবেশের চেষ্টা করলে কয়েক’শ কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ করে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ দোকানে ঢুকে ইদ্রিসের সামনে থেকে অহিদুল এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মো. ইদ্রিস বলেন, ‘সিভিল পোশাক পরিহিত দুজন পুলিশ এসে আমাদের যুবলীগ নেতা অহিদুলকে গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। পুলিশ অতর্কিতে গুলি করে আমার দোকানে ঢুকে অহিদুল ও শাহাবুদ্দিনকে আটক করে নিয়ে গেছে।’

এ ব্যাপারে জানতে রাতে সীতাকুণ্ড থানার ওসিকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

তবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচ এম মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, ‘মাদক মামলায় একজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক রাউণ্ড গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে।

*সীতাকুণ্ডে ইয়াবা সম্রাট যুবলীগ নেতা অহিদ গ্রেফতার

 

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print