ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লোহাগাড়ার ইউএনও’র দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় যুগান্তর প্রতিনিধিকে গ্রেফতার

গ্রেফতারকৃত সাংবাতিক সেলিম।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক সেলিম।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার)র বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধি সেলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে ইউএনও আবু আসলাম নিজেই পুলিশ নিয়ে আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাংবাদিক সেলিমের উপজেলার সদর ইউনিয়নের রশিদ পাড়ায় বাড়ীতে গিয়ে পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

সাংবাদিক সেলিম এর স্ত্রী র্মূশিদা বেগম জানান, গ্রেফতার করার সময় ইউএনও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন-‘শালাকে এরেস্ট করো, তাকে গুলি করে মারবো আমি’।

এ ব্যাপারে ইউএনও আবু আসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমি ম্যাজিস্ট্রেট আমি চাইলে যে কোন সময় যে কাউকে আটক করতে পারি। পুলিশের সাথে আপনি কেন সাংবাদিকের বাড়ীতে গেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ আসামী ধরার জন্য অভিযানে গেছে আমিও সেদিকে যাচ্ছিলাম। তাই যাওয়া।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, সাংবাদিক সেলিমের সাথে আমার ব্যাক্তিগত বিরোধ নেই।

এদিকে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের একটি মামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিলো। সেই পরোয়ানা মূলে আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম বলেন, রাত আটটার দিকে হঠাৎ পুলিশ নিয়ে বাসায় আসেন লোহাগাড়ার ইউএনও আবু আসলাম বাসায় ঢুকে সরাসরি তিনি বেড রুমে চলে যান। ওই মুহুর্তে সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন বসে বসে ল্যাপটপে নিউজ লিখছেলেন। সেখানে গিয়েই ইউএনও কোমর থেকে পিস্তল বের করে হুংকার ছেড়ে বলতে থাকেন ‘শালাকে এরেস্ট করো, তাকে গুলি করে মারবো আমি’। এরপর পুলিশ তাকে হাতকড়া লাগিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায়। কোনো ধরনের কথা বলার সুযোগ দেয়নি, কি অপরাধের জন্য এভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে তাও কিছু জানতে দেয়নি।

মুর্শিদা বেগম বলেন গত ক’দিন আগে পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলার মামলা চলাবস্থায় একটি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যান ইউএনও। সেই বিষয়ে যুগান্তরে নিউজ করেছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

এছাড়া গৃহায়ন প্রকল্পে ১৬৪ টি ঘরে অর্ধকোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এ ইউএনওর বিরুদ্ধে। গৃহায়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ঘরে সরকার ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও ইউএনও ঘরপ্রতি ৬০ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার খরচ করে বাকী টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে।

এ সব বিষয়ে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার স্বামী তার (ইউএনও) রোষানলে পড়েন।

*লোহাগাড়ায় গৃহায়ন কর্মসূচীতে ইউএনও’র পুকুর চুরি

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print