ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

“ইভিএম ভোট ডাকাতির মেশিন”- ডা. শাহাদাত

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদার সাম্প্রতিক বক্তব্যে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালেট বাক্স ভর্তি করে, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই তাঁর মতে ইভিএমই একমাত্র সমাধান নির্বাচনের আগের রাতের ব্যালেট বক্স ভর্তি করার সহজ উপায়।

তিনি আজ শনিবার (৯ মার্চ) সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

শাহাদাত আরো আরো বলেন, গত বিতর্কিত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সংসদীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যে ৬টি সংসদীয় আসনে ইভিএম দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের আমি প্রার্থী ছিলাম। ইভিএম ভোট ডাকাতির মেশিন এজন্য এসব ভোটিং মেশিনের ভোটাররা তাদের ভোট ভেরিফাই করতে পারে না। ভোটাররা তাদের ভোট ভেরিফাই করতে চাইলে ইভিএম এ অবশ্যই Voter Verifiable Paper Audit Trail (VVPAT) সিস্টেম থাকতে হবে। যেটা বাংলাদেশে নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম এ নেই।

ডা. শাহাদাত হোসেন বিবৃতিতে আরো বলেন, দ্বিতীয়ত ইভিএম গুলো হ্যাকিং প্রুফ নয়। সহজেই হ্যাক করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব। তৃতীয়ত আমাদের দেশের শিক্ষার হার ম্যাক্সিমাম না হওয়ার কারণে ইভিএম এ ভোট দিতে গিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে নির্বচনী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। যেটা এবারের ইভিএম এ প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক প্রায় ২৫% থেকে ৫০% ভোট প্রদানের অতিরিক্ত সুযোগ থাকার কারণে সরকারী দল অগ্রিম ৫০% ভোট কারচুপি করার সুযোগ পেয়ে গেল। আর বাকি ৫০% ভোট জনগণের জন্য যেটা রাখা হয়েছিল সেখানে দেখা গেল বিশেষ করে আমি আমার চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের কথা বলছি, সেখানে ভোটের এক মাস আগে থেকেই আমার নির্বাচন কেন্দ্রে যেসব নেতাকর্মীরা কাজ করবে তাদেরকে নিয়মিত পুলিশ গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা শুরু করল। চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হলো।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ৩ মাস আমাকে বিনাকারণে গায়েবী মামলা দিয়ে কারাগারে রাখল। ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না আসার জন্য পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ তান্ডব চলানো হলো। ভোটের দুইদিন আগে থেকে ভোট কেন্দ্রের এজেন্ডদের গ্রেফতার করা শুরু হল। এমনকি ভোটের দিন আমার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসল। ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দিতে আসা ভোটারদের গ্রেফতার করা হল। যেটা এ যাবতকালের নির্বাচনী ইতিহাসের কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এরমধ্যে আওয়ামী রাষ্ট্রীয় সমস্ত বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে যারা নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিতে গেল, দেখা গেল প্রতিটি নির্বাচনী বুথে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পূর্বঘোষিত ৩ জন সেনাবাহিনী অফিসারের পরিবর্তে ৩/ ৪ জন আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা দাঁড়িয়েছিল। তারা জোর করে ধানের শীষে ভোট দিতে আসা ভোটারদের ইভিএম আঙুলের ছাপ নেয়ার পরে নৌকায় ভোট দিয়ে দিল। যেসব ভোটার প্রতিবাদ করল তাদেরকে তারা অপমান করল, অনেককে মারধর করলো।

ডা. শাহাদাত বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ১৪৪ সেন্টারের ফলাফল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারী চট্টগ্রাম কারাগার থেকে প্রায় ৩ মাস পরে মুক্তি পাওয়ার পর আমি নিজে গিয়ে চট্টগ্রাম নির্বাচনী অফিস থেকে সংগ্রহ করে দেখলাম সবচেয়ে কম ভোট যে সেন্টারে আমাকে দেয়া হল সেটা হল আমার নিজ ভোট কেন্দ্র পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নং ওয়ার্ডের টিসার্স ট্রেনিং কলেজ সেন্টার। যেখানে আমাকে মাত্র ৮টি ভোট দেখানো হল।

আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দেখানো হল ২৩৭৯ ভোট যদিও ১৯৯১ সাল থেকে এ সেন্টারে আমরা কখনো হারেনি।  আমার পরিবারের ভোট রয়েছে প্রায় ২০ টি।  আমাদের ৮টি ফ্ল্যাটের ভাড়া ঘরের ভোটার রয়েছে শতাধিক এবং আমার নিজের আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মী রয়েছে অসংখ্য। তাই অনেকটা কৌতুহলবশত চট্টগ্রাম নির্বচন অফিসে আবেদন করি, যে ৮জন সম্মানিত ভোটার আমাকে ভোট দিয়েছেন উনাদের নাম এবং এনআইডি নাম্বার দেয়ার জন্য কিন্তু দুইদিন পর নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হল ইভিএমে ভোটারদের নাম ও এনআইডি নাম্বার সংরক্ষিত রাখার কোন সিস্টেম নেই শুধুমাত্র ভোটার সংখ্যা দেয়া যাবে। কাজেই ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত ইভিএম যে ভোট ডাকাতির মেশিন নয় নির্বাচন কমিশন সেটা কিভাবে প্রমাণ করবে?

ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপি করা যায় দেখে পশ্চিমা বিশ্বের সমস্ত দেশে এখন ইভিএমকে বর্জন করেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সম্প্রতি কলকাতার ব্রিগেডে মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নেতৃত্বে যে সম্মেলন হয়েছে সেখানে ইভিএমকে ভোট কারচুপির মেশিন হিসাবে অখ্যায়িত করা হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্ট ভারতের সামনের লোকসভায় নির্বাচনের রায় দিয়েছে। ভোটররা তাদের ভোট ভেরিফিকেশন এর জন্য ইভিএম এ অবশ্যই Voter Verifiable Paper Audit Trail (VVPAT) সিস্টেম থাকতে হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, কাজেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা যখন গণমাধ্যমে বরেন, ইভিএমে ভোট হলে আগের রাতে ব্যালেট বাক্স ভরে রাখার সুযোগ থাকবে না, তাহলে এটা সুসপষ্ট ভোটের আগের রাতে ব্যালেট বাক্স ভর্তি করে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে জোর করে হারানো হয়েছে এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। পাশপাশি জনগণের ৪ হাজার কোটি টাকায় কেনা ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএমকে জায়েজ করে দিন দুপুরে ভোট জালিয়তির রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে হীন চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print