
১২ দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত শনিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।
ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, জ্বালানি তেল পরিবহনে ট্যাঙ্করির ভাড়া বৃদ্ধি, তেল বিক্রিতে পাম্পের কমিশন বৃদ্ধি, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ইজারা নেওয়া জমির বর্ধিত মাসুল প্রত্যাহার।
ধর্মঘটের কারণে তেলচালিত অনেক পরিবহন অচল হয়ে পড়ছে। ডিজেল ও পেট্রোলের আশায় চালকরা পাম্পের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রাজধানী ঢাকার আসাদ গেট থেকে গাবতলী পর্যন্ত একাধিক পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা গেছে, এগুলোয় পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন বিক্রি বন্ধ আছে। তেল নিতে এসে অনেকেই বিফল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে যেসব পাম্পে তেলের পাশাপাশি সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস- সিএনজি) বিক্রি হয়, সেগুলোয় সিএনজি বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কমিশন বৃদ্ধিসহ ১২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা হচ্ছে। বার বার কথা দিয়েও সরকার আমাদের দাবি মানছে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগে তিন দফা চিঠি দিয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি। এরপর সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। এরপরও যদি দাবি